Advertisement
০১ মে ২০২৪
Assembly Elections 2023

প্রচার শেষ, শুক্রের ভোটে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির গদি বাঁচানোর লড়াই, ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের সব ক’টিতেই ভোট হবে। ছত্তীসগঢ়ের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে ৭০টি আসনে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৫
Share: Save:

যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলির তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে বুধবার বিকেল ৫টায় মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্ব শেষ হল। আগামী শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের সব ক’টিতেই ভোট হবে। ছত্তীসগঢ়ের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে ৭০টি আসনে। দু’রাজ্যেই গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর, অন্য তিন রাজ্য— রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরামের সঙ্গে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ছত্তীসগঢ়ের বেমেতরা, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বিন্ধ্য এলাকায় প্রচার করেছেন বুধবার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ছত্তীসগঢ়ের বেমেতরায় বিজেপির জনসভায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মধ্যপ্রদেশে শেষবেলায় বিজেপির তারকা প্রচারক ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধে গিয়েছিলেন আর এক ভোটমুখী রাজ্য রাজস্থানে। সেখানে ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর।

২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ১১৬। কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, মধ্যপ্রদেশে গত বারের মতোই এ বারও কোনও দলই তা ছুঁতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে নির্দল ছোট দলগুলির বিধায়কদের ভূমিকা। বাস্তবের সঙ্গে জনমত সমীক্ষা বা বুথফেরত সমীক্ষা মেলে না অনেক সময়েই। তবে মেলার উদাহরণও কম নয়। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ১১৪, বিজেপি ১০৯, বিএসপি ২ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৫টি আসনে জেতে। শেষ পর্যন্ত বিএসপি এবং নির্দলদের সমর্থনে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমল নাথ। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের নেতৃত্বে ২০২০-র মার্চে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়কের বিদ্রোহের জেরে গদি হারান কমল। চতুর্থ বারের জন্য ভোপালের কুর্সি গিয়েছিল শিবরাজ সিংহ চৌহানের হাতে।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে দেড় দশকের বিজেপি শাসনের ইতি ঘটিয়ে প্রথম বার বিধানসভা ভোটে জিতে ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৮টি জিতেছিল তারা। বিজেপি ১৫টিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল ‘জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ়’ (জেসিসি) পাঁচটি এবং তার সহযোগী বিএসপি দু’টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল। গত ৭ নভেম্বর প্রথম দফায় মাওবাদী উপদ্রুত ২০টি আসনে ভোট হয়েছে। শুক্রবার হবে বাকি ৭০টিতে। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের নেতৃত্বাধঈন বিজেপির চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE