দীর্ঘ শৈত্য কাটিয়ে ভারত-কানাডা সম্পর্ককে ফের আগের জায়গায় আনা হবে, এই সিদ্ধান্ত গত মাসেই জি-৭-এর পার্শ্ববৈঠকে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। সেই লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে আসছেন কানাডার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ওয়েল্ডন এপ। সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে হিমঘর থেকে বার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরনো সহযোগিতার জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করা হবে এই সফরে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে চলে গিয়েছিল। কার্নির পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদে কানাডার মদত ঘিরে নয়াদিল্লি এবং অটোয়ার সংঘাত ক্রমশ বেড়েছে। কার্নি অবশ্য ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেন। কার্নির আমন্ত্রণ পেয়ে মোদী জানিয়েছেন, ভারত এবং কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে নয়া উদ্যমে একসঙ্গে কাজ করবে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, কানাডার মন্ত্রীর সফরে ভবিষ্যৎ আদানপ্রদানের রূপরেখা ও মাপকাঠি তৈরি করার চেষ্টা হবে। দু’দেশেরই যে পারস্পরিক উদ্বেগ রয়েছে, তা নিরসন করার মঞ্চ তৈরি হবে। দু’দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি আইনি পরিকাঠামো তৈরির বিষয়ে জোর দেবেন এপ। পাশাপাশি সন্ত্রাস বিরোধী ওয়ার্কিং গ্রুপের কাজ ফের শুরু করা (গত দু’বছর যা থমকে) নিয়ে কথা হবে। ভারতের দিক থেকে চেষ্টা থাকবে কানাডায় খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ভারত-বিরোধী কাজকর্ম সম্পর্কে এপ-কে জানানো। ভারতের দূতাবাসে কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা বাড়ানোর উপরে জোর দেবেন এপ। ইতিমধ্যেই পরস্পরের দেশে হাইকমিশনার নিয়োগ শুরু করেছে ভারত, কানাডা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)