গত ৩১ জুলাই, সোমবার কলকাতা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল গুজরাত পুলিশ। আর শুক্রবার পানামার পণ্যবাহী জাহাজের ক্যাপ্টেন, কলকাতা নিবাসী সুপ্রীত তিওয়ারির সেই ভাইকে গ্রেফতার করা হল।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার হেরোইন সম্প্রতি ভারতে নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছিল সুপ্রীত তিওয়ারির বিরুদ্ধে। সুপ্রীতকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছিল, তাঁর ভাই, কলকাতার এন্টালির বাসিন্দা সুজিতও এই ঘটনা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানেন। সেই কারণেই সুজিতকে কলকাতা থেকে প্রথমে তুলে নিয়ে যায় গুজরাত পুলিশ। গুজরাত পুলিশ সূত্রের খবর, টানা পাঁচ দিন জেরায় জানা গিয়েছে যে সুজিত গোটা ‘অপারেশন’ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের দাদা সুপ্রীত ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সুজিতের। সেই অভিযোগেই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ১৫০০ কিলোগ্রাম হেরোইন ভারতের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার ইনাম হিসেবে এন্টালির ওই দুই ভাইয়ের মোট ৫০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল বলেও গুজরাত পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে।
গত ২৮ জুলাই গুজরাতের পোর বন্দরের কাছে নোঙর করে রাখা ‘এমভি হেনরি’ নামের ওই জাহাজ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার হেরোইন। সেটি এসেছিল ইরান থেকে। ভারতের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সেই মাদক আনা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে মুম্বই বন্দরে সেই হেরোইন নামানোর কথা ছিল। কিন্তু, কোনও ভাবে সুপ্রীত ও তাঁর দলবলের সন্দেহ হয়। মুম্বই গেলে তাঁরা ধরা পড়ে যাবেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। সিদ্ধান্ত বদলে তখন তাঁরা গুজরাতের পোর বন্দরে হেরোইন নামানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, সে খবরও পেয়ে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর। সতর্ক করা হয় গুজরাতের উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। তারাই হানা দিয়ে উদ্ধার করে হেরোইন। গ্রেফতার করে সুপ্রীত-সহ জাহাজের পাঁচ জনকে।
ঘটনার তদন্তে নামে গুজরাত পুলিশ। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে গত রবিবার এন্টালি থেকে সুজিতকে আটক করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy