‘গো’ ইস্যুতে ক্রমে চাপ বাড়ছে কেরলের বাম সরকারের উপর। সমাধানসূত্র খুঁজতে এ বার সর্বদল বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এর পাশাপাশি, শনিবার প্রকাশ্যে গো-নিধন করে মাংস খাওয়ার ঘটনায় রাহুল গাঁধীর নিন্দার পরেই ১৬ জন কংগ্রেস কর্মীকে সাসপেন্ড করল দল।
গো-ইস্যুতে বার বার বিতর্কের কেন্দ্র উঠে এসেছে কেরল। গো-মাংস বিক্রি হচ্ছে— এই অভিযোগে রাজ্যের একাধিক রেস্তোরাঁয় হাঙ্গামা চালিয়েছিল বজরং দল এবং সঙ্ঘ পরিবাররে সদস্যরা। গো-নিধন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধীরাও সরব হয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার বিতর্ক বাড়িয়েছেন যুব কংগ্রেস সদস্যরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় গরু জবাই করেন তাঁরা। তার পর রাস্তাতেই সেই মাংস রান্না করে চলে খাওয়া-দাওয়া। ঘটনায় বিতর্ক শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে কংগ্রেস। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর নিন্দার পরই অভিযুক্ত সব কংগ্রেস সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়।
আরও খবর: গবাদি-বিধিতে ক্ষোভ, উঠছে প্রশ্নও
শনিবার কংগ্রেস যুব সদস্যদের এই কার্যকলাপের পরই কেরল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। এর পরই গো-বিতর্ক সমাধান সূত্র খুঁজতে সর্বদল বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় কেরলের বাম সরকার। কেরলের কৃষিমন্ত্রী ভি এস সুনীলকুমার জানিয়েছেন, ধারাবাহিক বিক্ষোভের ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানের জন্যই সর্বদল বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।