এ দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা বিজিতা নাথকে জেরা করে সিবিআই।— প্রতীকী ছবি।
রোজ ভ্যালি কাণ্ডে আজ ত্রিপুরার সিপিএম মন্ত্রী বিজিতা নাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। সিবিআইয়ের কলকাতা অফিস থেকে দু’জনের একটি দল সকালের বিমানে আগরতলায় পৌঁছন। কথা ছিল মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। কিন্তু মন্ত্রীর দফতর থেকে সিবিআই কর্তাদের জানানো হয়, বাসভবনে নয়, সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষেই যেন তাঁরা আসেন।
এরপরে সিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস কে ত্রিপাঠি, ইন্সপেক্টর ব্রতীন ঘোষাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আগরতলা-কুঞ্জবন শাখার আধিকারিক শ্রীমতী এস দাশগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে সচিবালয়ে আসেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁরা বিজিতা নাথকে জেরা করেন। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর কিছু ব্যাঙ্ক লেনদেন নিয়েও বিশদে তাঁরা জানতে চান।
জেরার ব্যাপারে সিবিআইয়ের অফিসাররা সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি। বিজিতাদেবীও এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনও কিছু বিশদে বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তের বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলব না। ওঁদের প্রশ্নে আমি যতটুকু জানি তাই বলেছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি আগেই বলেছিলাম, তদন্তের কাজে সাহায্য করব। তাই করেছি।’’ তবে জেরার বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়া নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, শেষ মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদের জায়গা বদল হল কেন? প্রশ্ন শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মন্ত্রী। তিনি জানান, সিবিআই কর্তাদের কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে নোটিসের কপি দিয়েছেন? সিবিআই জানায়, তাঁরা এই নোটিস অন্য কাউকেই দেননি। মন্ত্রীর অভিযোগ সংবাদমাধ্যম তাঁকে আগে ভাগেই দোষী সাব্যস্ত করে দিয়েছে। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা। নিরপেক্ষ ভাবেই তারা তদন্ত করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy