Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

প্রশ্ন ফাঁসের কথা অনেক আগেই জানত বোর্ড, বলছে এফআইআর

যে মেলটি সিবিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছিল, হাতে লেখা অঙ্কের প্রশ্নপত্রের ১২টি ছবি ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শেষ না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতে দেননি কাউকে।

প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের প্রতিবাদে নয়াদিল্লির যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। ছবি: পিটিআই।

প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের প্রতিবাদে নয়াদিল্লির যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮ ১৫:৫১
Share: Save:

প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের তদন্তে দেশ জুড়ে সক্রিয় হল পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনী। দিল্লিতে অন্তত ১৮ জন পড়ুয়াকে ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে। জেরা করা হয়েছে ৫ টিউটরকেও। ঝাড়খণ্ডে ৬ পড়ুয়াকে পুলিশ আটক করেছে। তবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা অনেক আগেই জেনে যাওয়া সত্ত্বেও সিবিএসই কর্তৃপক্ষ কেন তা নিয়ে উচ্চবাচ্য করলেন না, সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর এখনও মেলেনি।

কোথা থেকে ফাঁস হল প্রশ্ন, কারা বিক্রি করলেন, কারা কিনলেন— পুলিশ এখন সেটাই খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অন্তত ১০টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রত্যেকটি গ্রুপের সদস্য সংখ্যাই ৫০-৬০। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলির অ্যাডমিনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এ দিকে, প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে দ্বিতীয় এফআইআর দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা শুরুর প্রায় ৯ ঘণ্টা আগেই সিবিএসই কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছিলেন, ফাঁস হয়ে গিয়েছে প্রশ্ন। তেমনই লেখা হয়েছে এফআইআর-এ। ২৮ মার্চ সিবিএসই-র দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে ১০টায়। তার আগে রাত ১টা ৪০ মিনিটে সিবিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ-সহ ই-মেল পৌঁছয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ।

যে মেলটি সিবিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছিল, হাতে লেখা অঙ্কের প্রশ্নপত্রের ১২টি ছবি ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শেষ না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতে দেননি কাউকে। পরীক্ষা শুরুর ৯ ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার খবর পেয়েও কেন পরীক্ষা বাতিল করা হল না বা কোনও বিকল্প পদক্ষেপ করা হল না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।

যে এফআইআর থেকে এই ই-মেলের কথা জানা গিয়েছে, প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে সেটি দ্বিতীয় এফআইআর। এর আগে আরও একটি এফআইআর হয়েছিল। প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ড নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। দশম শ্রেণির অঙ্কের প্রশ্ন এবং দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ওই দু’টি পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: বিহারে দাঙ্গা: বিজেপিকে কড়া বার্তা দিল নীতীশের দল

আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যে গরিবদের জন্য বরাদ্দ টাকায় রামের মূর্তি!

দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়েছে, সে কথা নাকি আরও আগে জানতেন সিবিএসই কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে যে প্রথম এফআইআর হয়েছিল, তাতেই সে কথা লেখা হয়েছিল। ২৫ মার্চ দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষা ছিল। তার আগে ২৩ মার্চ বোর্ডের দফতরে একটি ফ্যাক্স বার্তা পৌঁছয়। তাতেই প্রশ্ন ফাঁসের খবর ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও পরীক্ষা বাতিল করার পথে বা প্রশ্নপত্র বদলে দেওয়ার পথে হাঁটেনি বোর্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CBSE Question Paper Leak সিবিএসই
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE