‘হাসি’ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সিআইএসএফ জওয়ানদের। বিমানবন্দরে মোতায়েন ওই বাহিনীর জওয়ানদের যাত্রীদের সঙ্গে ‘চওড়া’ হাসির বদলে ‘প্রয়োজন মতো’ হাসি হাসতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সিআইএসএফের ডিজি রাজেশ রঞ্জনের দাবি, যাত্রীদের সঙ্গে বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের বদলে কড়া নজরদারি চালানোই বেশি জরুরি। এ দিনই দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, জঙ্গিরা এখন ‘অন্তর্বাস’-এও বিস্ফোরক নিয়ে ঘুরছে। সুতরাং অনেক বেশি সতর্কতার প্রয়োজন।
সিআইএসএফ ডিজি-র মতে, মার্কিন বিমানবন্দরে যাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও তাঁদের সাহায্য করার উপরেই জোর দেওয়া হত। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরে মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, নজরদারির গুরুত্ব কমে গিয়েছিল। সিআইএসএফ প্রধান জানিয়েছেন, যাত্রীদের আচরণ বোঝার জন্য বাহিনীর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা।
এ দিনই দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘‘২০০৯ সালে আমস্টারডাম-ডেট্রয়েট বিমানে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল এক জঙ্গি। তার অন্তর্বাসে বিস্ফোরক লুকনো ছিল। এখন জঙ্গিরা এ ভাবেই তাদের কৌশল বদলে ফেলছে।’’
রাজনাথের কথায়, ‘‘কোনও বিমানে হামলা হলে সারা বিশ্বের নজর সে দিকে চলে যায়। অনেক ক্ষেত্রে এই হামলার প্রভাবে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বদলে যায়।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ২০০১ সালে জুতোয় বিস্ফোরক নিয়ে হামলার চেষ্টা, ২০০৬ সালে লন্ডনে তরল বিস্ফোরক নিয়ে হানা ও ২০০৯ সালে ‘অন্তর্বাস’ জঙ্গির হানা থেকেই বোঝা যায় জঙ্গিরা অনেক বেশি মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভারতে বড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হলেও ৪০টি ছোট বিমানবন্দর ও হেলিপ্যাডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ নয় বলে মনে করেন রাজনাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy