Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Uttarkashi Tunnel Collapse

দেশে এখন নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ক’টি? সুরক্ষা কেমন? উত্তরকাশীর ঘটনার পর খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র

দেশের সবক’টি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ এখন সরকারের নজরে। উত্তরকাশীর ঘটনার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। সব সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র।

Center to check all under-construction tunnels after Uttarkashi incident

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১৫
Share: Save:

উত্তরকাশীর ঘটনার পর যেন ঘুম ভাঙল কেন্দ্রীয় সরকারের। দেশে এই মুহূর্তে যত সুড়ঙ্গ নির্মীয়মাণ অবস্থায় আছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ন্যাশানাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এনএইচএআই) নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবে।

দেশে এই মুহূর্তে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের সংখ্যা ২৯টি। সেগুলিতে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য কী ধরনের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে, খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে নতুন করে আপৎকালীন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে। আচমকা কোনও সুড়ঙ্গে ধস নামলে, উত্তরকাশীর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে শ্রমিকদের যাতে সহজে উদ্ধার করা যায়, তা নিশ্চিত করবে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনএইচএআই ছাড়াও দিল্লি মেট্রোর তরফে একটি বিশেষজ্ঞ দল প্রতিটি সুড়ঙ্গে পৌঁছে ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা একটি রিপোর্ট জমা দেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে।

২৯টি মোট নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের এলাকা ৭৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে শুধু হিমাচল প্রদেশেই রয়েছে ১২টি। এ ছাড়া, জম্মু ও কাশ্মীরে ছ’টি, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থানে দু’টি করে এবং মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লিতে একটি করে সুড়ঙ্গের কাজ চলছে।

গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ধস নামে। ভিতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। সুড়ঙ্গের যে অংশে শ্রমিকেরা আটকে আছেন, কিছুতেই সেখানে পৌঁছতে পারছিলেন না উদ্ধারকারীরা। গত ১১ দিন ধরে বদ্ধ সুড়ঙ্গেই আটকে রয়েছেন তাঁরা। তবে উদ্ধারকাজ প্রায় শেষের পথে। বুধবার সুড়ঙ্গের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। শীঘ্র উদ্ধারের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রথম থেকেই আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়েছিল। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা হয় পরিজনদেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE