Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
parliament

নজরে ভোট, কাজ না হলেও সংসদ চালাতে চায় সরকার

কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, সংসদ সোমবার বন্ধ হতে পারে। কারণ, মঙ্গলবার মোদীর আরও একটি সরকারি কর্মসূচি রয়েছে কর্নাটকে। তার পরেই সে রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা।

Parliament.

চলতি বাজেট অধিবেশনকে নির্ধারিত সময় অর্থাৎ এপ্রিলের ৬ তারিখ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫৭
Share: Save:

কোনও কাজের কাজ না হলেও সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনকে নির্ধারিত সময় অর্থাৎ এপ্রিলের ৬ তারিখ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাজনৈতিক সূত্রে এ খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থ বিল-সহ কিছু বিল পাশ করানো ছাড়া কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। সরকার পক্ষ নিজেরাই উত্তাল হয়েছে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে। আজও বিরোধীদের কালো কাপড় পরে ওয়েলে নেমে স্লোগান ও হইচইয়ের জেরে সংসদের দু’টি কক্ষই বার বার মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে সরকার কেন শেষ দিন পর্যন্ত সংসদ চালাতে চাইছে তা নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, সংসদ সোমবার বন্ধ হতে পারে। কারণ, মঙ্গলবার মোদীর আরও একটি সরকারি কর্মসূচি রয়েছে কর্নাটকে। তার পরেই সে রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা। এটা ঘটনা যে সংসদ চললে বিরোধী দলগুলির সুবিধা। আদানির সঙ্গে মোদী সরকারের সংযোগের অভিযোগকে সামনে রেখে অধিবেশন কক্ষের ভিতরে-বাইরে সরব হওয়ার সুযোগ পাবে তারা। গত কাল রাতেই ১৮টি দলের সংসদীয় প্রতিনিধিরা বসে আলোচনা করেছেন, যত দিন অধিবেশন চলবে তত দিন তো বটেই, তার পরেও আদানি কাণ্ড নিয়ে এক জোট হয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। তৃণমূলও দীর্ঘদিন বাদে যোগ দিয়েছে এই প্রতিবাদে। ফলে সরকারের পক্ষে এটাই প্রত্যাশিত ছিল তড়িঘড়ি অধিবেশন বন্ধ করে দিয়ে অস্বস্তি কমানো।

সূত্রের খবর, আজও বিষয় উপদেষ্টা কমিটিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন তোলেন, পর পর সাতটি অধিবেশন সময়ের আগে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২০-র বাজেট অধিবেশন থেকে ২০২২-এর শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যে পরপর ছিল এই সাতটি সংসদীয় অধিবেশন। এ বারেও যদি হয়, তবে তা হবে অষ্টম। এর ব্যাখ্যা কী? শুধু কমিটির বৈঠকেই নয়, সরকার যে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে বার বার সংসদ অচল করে দিচ্ছে, এ কথা বিভিন্ন মঞ্চে বলে চলছে তৃণমূল, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীরা। তবে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এই অধিবেশন সময়ের আগে শেষ করলে ভোটের আগে ভুল বার্তা যাবে। তা ছাড়া, তারাও রাহুলের বিরুদ্ধে দলিত তাস খেলার সুযোগ নিতে চাইছে। আপাতত স্থির আছে, আগামিকালের পরে এই সপ্তাহে আর অধিবেশন বসবে না। কারণ, বৃহস্পতিবার নবরাত্রির ছুটি। আর সরকার পক্ষের সঙ্গে বিরোধীরা সহমত হয়েই শুক্রবার অধিবেশন বন্ধ রেখেছে। পরের সপ্তাহে মঙ্গলবার মহাবীর জয়ন্তীর ছুটি। ফলে অধিবেশনের আর চার দিন বাকি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

parliament Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE