খরিফ মরসুমে ধানের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য মাত্র ৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। মুগ ডালের ক্ষেত্রে সহায়ক মূল্য বেড়েছে সব থেকে কম হারে। সব থেকে বেশি সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বাড়ানো হয়েছে রাগির ক্ষেত্রে। মোদী সরকার রাগি, জোয়ারের মতো মিলেট শস্যে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এই সব ফসলকে ‘শ্রী অন্ন’ বলেও তকমা দেওয়া হয়েছে। রাগি, জোয়ার দুই ক্ষেত্রেই আজ কেন্দ্র ১০ শতাংশের বেশি হারে সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৪টি খরিফ ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেছে। সাধারণ মানের ধানের এমএসপি প্রতি কুইন্টালে ২৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩৬৯ টাকা হয়েছে। ‘গ্রেড এ’ ধানের এমএসপি ঠিক হয়েছে প্রতি কুইন্টালে ২৩৮৯ টাকা। দু’ক্ষেত্রেই মাত্র ৩ শতাংশ বৃদ্ধি। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, সরকারি গুদামে বিপুল পরিমাণে ধান মজুত রয়েছে। খাদ্য নিগমের হিসেব অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৩৮১.৪৭ লক্ষ মেট্রিক টন চাল, ৩১৮.৭৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধান মজুত রয়েছে। দুই মিলিয়ে মজুত চালের পরিমাণ প্রায় ৫৯৫ লক্ষ মেট্রিকটন হবে।
সেই তুলনায় রাগির সহায়ক মূল্য বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশের কাছাকাছি। জোয়ারের ক্ষেত্রে তা ১০ শতাংশের মতো, বাজরার ক্ষেত্রে তা ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
কৃষক সংগঠনগুলি বক্তব্য, দেশের চাষযোগ্য জমির মাত্র ০.৫১ শতাংশ জমিতে রাগির চাষ হয়। রাগির দাম বাড়লে কর্নাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের সামান্য সংখ্যক চাষি উপকৃত হবে। জোয়ার মূলত মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশে চাষ হয়। এমএসপি সব থেকে কম বেড়েছে মুগ ডালের ক্ষেত্রে, ১ শতাংশের কম। মোদী সরকারের দাবি, খরিফ ফসলের পিছনে সরকারের ২ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কিসান ক্রেডিট কার্ডের ঋণে ভর্তুকি প্রকল্প চলতি অর্থ বছরের জন্যও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিসান ক্রেডিট কার্ডে চাষিরা ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদি ঋণ পাবেন। মাত্র ৭ শতাংশ সুদে। তাতে সরকার দেড় শতাংশ হারে সুদে ভর্তুকি দেবে। দ্রুত ঋণ শোধ করলে ৩ শতাংশ ভর্তুকি মিলবে। এ জন্য কেন্দ্র ১৫,৬৪০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)