কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। ফাইল চিত্র।
সদ্য গুজরাতে পাওয়া গিয়েছে ওমিক্রনের এক্সই প্রজাতি। মুম্বইয়েও ওমিক্রনের ওই নতুন প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে সে রাজ্যের প্রশাসন। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন ওমিক্রনের নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তখন বারো বছরের নীচে থাকা ছোটদের কবে থেকে টিকাকরণ হবে, সেই দিশা দেখাতে পারলেন না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কবে থেকে টিকা হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসা সম্ভব হয়নি।’’ একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, বুস্টার ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন দু’টি সংস্থা রয়েছে। দু’য়ের বেশি সংস্থা প্রতিযোগিতায় নামলেই বুস্টার ডোজ়ের দাম অনেকটাই কমে আসবে।
দু’-একটি রাজ্য বাদ দিলে দেশের অধিকাংশ প্রান্তেই করোনা রোগীর সংখ্যা নিম্নমুখী। কিন্তু সরকারকে কিছুটা চিন্তায় রেখেছে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি এক্সই। করোনার অধিকাংশ প্রজাতির চেয়ে সংক্রমণের প্রশ্নে অন্তত দশ গুণ বেশি শক্তিশালী এক্সই। এই আবহে আজ স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাণ্ডবিয়া। সূত্রের মতে, বৈঠকে মূলত নজরদারির উপরে জোর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যে হেতু নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা খুব বেশি, তাই নজরদারির পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ওষুধ রয়েছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখার উপরে জোর দেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় এ ক্ষেত্রে অল্প সময়ে বেশি জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই কারণে ওষুধের জোগান স্বাভাবিক রাখার উপরে জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।’’ এ ছাড়া আজকের বৈঠকে টিকাকরণের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ় ও ৮৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ় টিকা নিয়েছেন। বাকিদের সকলে যাতে দু’পর্বের টিকাকরণ দ্রুত শেষ করে বুস্টার ডোজ নেন, তার উপরে জোর দিয়েছেন মাণ্ডবিয়া।
আজ বিকালের সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্র দাবি করে, সংক্রমণ বেশি হলেও মৃত্যুহার অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের সংখ্যা অনেক কম। মাণ্ডবিয়ার দাবি, অন্যান্য দেশে প্রতি দশ লক্ষে ৭৮৮ জন মারা গিয়েছেন, ভারতে সংখ্যাটি ৩৮০। এ দিকে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ রাজ্যে সরকারি-বেসরকারি স্কুল খুলে গিয়েছে। ফলে একেবারে ছোটরাও এ বার স্কুলে যাওয়ার জন্য পথে নামতে শুরু করেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, ছোটরা কবে টিকা পাবে? ছোটদের টিকা প্রসঙ্গে মাণ্ডবিয়া বলেন, ‘‘এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি আলোচনা চালু রেখেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। গোটাটাই বিশেষজ্ঞ কমিটির ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।’’ এ দিন সিরাম ইনস্টিটিউটের আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ভারতে তৈরি প্রথম করোনা টিকা ‘কোভোভ্যাক্স’ এ বারে ইউরোপেও বিক্রি করবে তাঁর সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy