ফাইল চিত্র।
কোভিড ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যবাসী এবং বিরোধী দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়লেও, যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে ‘ক্লিনচিট’ই দিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, ২০২২-এর নির্বাচনে যোগীই যে বিজেপি-র প্রধান মুখ হচ্ছেন সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তাঁরা। যোগীই যে উত্তরপ্রদেশের প্রধান শক্তি একই সঙ্গে সেই বার্তাও দিতে চেয়েছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার রাতে টুইট করে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ যোগীর সরকারের কোভিড পদক্ষেপ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা রাধামোহন সিংহ আরও এক ধাপ এগিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে খারিজ করেছেন। কার্যত রাজ্যের বিরোধী দলকে কটাক্ষ করে তার মন্তব্য, এটা কারও কারও ‘কল্পনার ফসল’।
উত্তরপ্রদেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠার পরই তড়িঘড়ি আসরে নামেন বিজেপি-কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যোগীর ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাতেই উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক হাওয়া মাপতে দিল্লি থেকে পাঠানো হয় দুই নেতাকে। যদিও বিজেপি-র তরফে এটাকে সাধারণ সাক্ষাৎ এবং কোভিড ত্রাণ নিয়ে দল কেমন কাজ করছে তা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যেই এই সফর বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পছন্দের ব্যক্তি যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর রাজ্য পরিচালনা, তৃণমূল স্তরে নেমে কাজ করা এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা অর্জন করেছে। তাই যোগীকে সামনে রেখেই আগামী নির্বাচন লড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
যোগী ‘ক্লিনচিট’ পেলেও তাঁর মন্ত্রিপরিষদে কিছু রদবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবং রাজ্যে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে, বিশেষ করে পঞ্চায়েতে শোচনীয় হার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিন্তায় রেখেছে। আগামী নির্বাচনে যাতে তার প্রভাব না পড়ে তাই আগে থেকেই ঘুঁটি সাজানোর কাজ শুরু দিল গেরুয়া শিবির, এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy