প্রতীকী ছবি।
কোভিডের আবহে নয়া আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বার্ডু ফ্লু। কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ-সহ ১২টি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। হাঁস, কাক, পরিযায়ী পাখির থেকে সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও গবাদিপশু সংক্রান্ত মন্ত্রক বুধবারই একটি নির্দেশিকা জারি করে সতর্ক করেছে রাজ্যগুলিকে। পাঁচকুলার একটি হাঁস-মুরগির খামারে বেশ কিছু পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে হরিয়ানায়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য আজই কেরলের আলাপুঝা ও কোট্টায়াম জেলায় পরিদর্শনে যায় তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় দল। কেরল সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই দুই জেলায় এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার পাখির। বৃহস্পতিবার গুজরাতের মেহসানা জেলায় চারটি কাকের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়ায়। গুজরাতের বিখ্যাত সান টেম্পল চত্বরে দেহগুলি উদ্ধার হয়। বার্ড ফ্লু সংক্রমণেই ওই পাখিগুলির মৃত্যু হয়েছে কি না তা দেখতে দেহগুলি ভোপালের একটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরেও খামার মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, খামারের আশপাশে কোনও পুকুর বা জলাশয় না রাখতে যেখানে পরিযায়ী পাখিরা আসতে পারে। এ দিকে, কেরলের মতো হরিয়ানাতেও পরিস্থিতি বিচার করে দেখতে দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে আগামী ১০দিন মাংস আমদানি বন্ধ রাখছে মধ্যপ্রদেশ।
পঞ্জাবেও বার্ড ফ্লু নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনকে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩ হাজার পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর পরে হিমাচলপ্রদেশে বিভিন্ন হাঁস-মুরগির খামারে নমুনা সংগ্রহের কাজ হয়েছে। সোলাং জেলায় হাইওয়ের পাশে প্রায় ৫০০টি মুরগির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বার্ড ফ্লুয়েই সেগুলির মৃত্যু হয়েছে কি না জানতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লিতে একটি ‘কন্ট্রেল রুম’ তৈরি করে রাজ্যগুলির উপরে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy