২০১৯ সালের ১০ জুলাই ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনকে ইউএপিএ-আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাজনৈতিক নয় বরং সম্পূর্ণরকম ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চলে এই সংগঠনটি। এসএফজে-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এজেন্টরা সক্রিয়।
প্রতীকী ছবি।
খলিস্তানপন্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর ওয়েবসাইট, অ্যাপ-সহ নেটমাধ্যমে যাবতীয় প্রচার বন্ধ করতে সক্রিয় হল কেন্দ্র। ওই সংগঠনের হয়ে প্রচারের অভিযোগে একটি টিভি চ্যানেলের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটকে বন্ধ করার সরকারি নির্দেশিকাও জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ওই চ্যানেলটি পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য অনলাইন মিডিয়া ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে সাম্প্রদায়িকতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ উস্কে দিয়ে অশান্তি বাধাতে চাইছে এসএফজে। ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তার পক্ষে ওই সংগঠন ‘বিপজ্জনক’ বলেও সরকারি বিবৃতি বলা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনকে ইউএপিএ-আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাজনৈতিক নয় বরং সম্পূর্ণরকম ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চলে এই সংগঠনটি। এসএফজে-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এজেন্টরা সক্রিয়। ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে আর্থিক মদত যোগায় এই নিষিদ্ধ সংগঠন। এমনকি নেটমাধ্যমে ভারত বিরোধী পোস্ট দিতে পারলে বিদেশের কোনও দেশে নাগরিকত্ব জোগাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়।
সাম্প্রতিক কালে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে কানাডা থেকে একাধিক বিবৃতি দিয়েছিল ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠন এসএফজে। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের সময় বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছিল তারা। এর পর কেন্দ্রের তরফে খলিস্তান আন্দোলনের সমর্থক ওই সংগঠনটির কার্যকলাপে রাশ টানার জন্য কানাডা-সহ বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy