— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজ (এমজিএনআরইজিএ)-র প্রকল্পে কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তিন থেকে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হবে মজুরি। পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মীদের মজুরি ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হবে বর্ধিত মজুরি। বৃহস্পতিবার জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মীদের মজুরি সব থেকে কম বেড়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। তিন শতাংশ। সব থেকে বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে গোয়ায়। সেখানে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের কর্মীদের মজুরি ১০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
দেশে লোকসভা ভোটের কারণে নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু রয়েছে। তার মধ্যে এই মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা কী ভাবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র বলছে, এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির আগে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক। মজুরির পুনর্বিবেচনা প্রতি বছরই হয়। সে কারণে কমিশন ছাড়পত্র দিয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ এই মজুরির পুনর্বিবেচনা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। গত বছর ২ থেকে ১০ শতাংশ হারে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কর্নাটক, গোয়া, মেঘালয়, মণিপুরে সব থেকে কম বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল সে বার। ওই অর্থবর্ষে সব থেকে বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছিল রাজস্থানে। দিনে ২৩১ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫৫ টাকা করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে সংসদে রিপোর্ট জমা করেছিল গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতি রাজ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরির বৈষম্য রয়েছে। এই প্রকল্পের কর্মীরা যে মজুরি পান, তা জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কমিটির রিপোর্টের প্রসঙ্গও তুলেছে স্ট্যান্ডিং কমিটি। ওই কমিটির সুপারিশ ছিল, দিনে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরি ৩৭৫ টাকা হওয়া উচিত।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের প্রকল্পের মজুরি ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে ছিল দিনে ২৩৭ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা। গোয়ায় এই প্রকল্পে আগে দৈনিক মজুরি ছিল ৩২২ টাকা। ১০.৬ শতাংশ বৃদ্ধির পর তা হয়েছে ৩৫৬ টাকা। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে আগে দৈনিক মজুরি ছিল ২৩০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৩৭ টাকা। গোটা দেশে এই দুই রাজ্যেই সব থেকে কম মজুরি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy