Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
COVID19

Isolation: মাস্ক পরায় অনীহা, তাই সাত দিনের বিচ্ছিন্নবাস

দেশে যাঁরা উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত, তাঁদের জন্য নিজের বাড়িতেই সাত দিনের বিচ্ছিন্নবাসে থাকার সুপারিশ করেছে কেন্দ্র।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৩৪
Share: Save:

দেশের বড় সংখ্যক লোকের মাস্ক পরায় অনীহা। তাই আমেরিকায় ওমিক্রন আক্রান্তেরা পাঁচ দিনের বিচ্ছিন্নবাসের মেয়াদ শেষ করে ষষ্ঠ দিনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারলেও এ দেশের মানুষের মাস্ক পরায় অনিচ্ছার কারণে বিচ্ছিন্নবাসের মেয়াদ সাত দিন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ওমিক্রন আক্রান্তদের অধিকাংশই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত। তাই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপরে অযথা চাপ কমাতে দেশে যাঁরা উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত, তাঁদের জন্য নিজের বাড়িতেই সাত দিনের বিচ্ছিন্নবাসে থাকার সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়ালের কথায়, ‘‘কোনও ব্যক্তি যে দিন করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়বেন, সে দিন থেকে পরের সাত দিন তাঁকে বিচ্ছিন্নবাসে কাটাতে হবে।’’ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, পরপর তিন দিন যদি জ্বর না আসে, সে ক্ষেত্রে অষ্টম দিন ওই ব্যক্তি বিচ্ছিন্নবাস থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করতে পারবেন।

ভারতের মতো আমেরিকাতেও অধিকাংশ ওমিক্রন রোগীর শরীরে মৃদু উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সে দেশের নাগরিকদের পাঁচ দিনেই বিচ্ছিন্নবাস শেষ করার অনুমতি দিয়েছে। কেন ওই পার্থক্য, তার ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের যুক্তি, এ দেশে আমনাগরিকদের মধ্যে মাস্ক পরার প্রশ্নে প্রবল অনুৎসাহ দেখা যাচ্ছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বাড়তি সতর্কতার অঙ্গ হিসাবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের আরও দু’দিন বাড়িতে থাকার কথা বলা হয়েছে। যাতে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েই ওই ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন। তবে দু’দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সুস্থ হওয়াদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পরেও মাস্ক পরে থাকা আবশ্যক বলে জানিয়েছে।

কোনও ব্যক্তি সাত দিনের বিচ্ছিন্নবাসের মেয়াদ শেষ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগে নতুন করে পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন, তার ব্যাখ্যায় লভ আগরওয়াল বলেন, ‘‘সাত দিনের মাথায় সংক্রমিত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে গেলেও তাঁর শরীরে নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস থেকে যায়। আরটি-পিসিআর অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি পরীক্ষা। ফলে আট দিনের মাথায় যদি পরীক্ষা করা যায়, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির শরীরে নিষ্ক্রিয় ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যাবে। যার মারণক্ষমতা থাকে না। কিন্তু পরীক্ষায় শরীরে নিষ্ক্রিয় ভাইরাসের উপস্থিতি ভুল বার্তা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই বিচ্ছিন্নবাস শেষ করার পরে নতুন করে পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই।

কিন্তু শরীরে যদি ভাইরাস সাত দিনের শেষেও সক্রিয় থেকে যায়, সে ক্ষেত্রে কী ভাবে বোঝা সম্ভব হবে?

লভ জানান, বিচ্ছিন্নবাস থেকে বার হওয়ার প্রধান শর্ত হল, পরপর তিন দিন জ্বর না থাকা। ভাইরাস সক্রিয় থাকার অন্যতম লক্ষণ হল জ্বর আসা। তাই কারও যদি সাত দিনের মাথাতেও জ্বর থেকে যায়, তা হলে বিচ্ছিন্নবাসের মেয়াদ বাড়বে। সেই ব্যক্তিকে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের পাশাপাশি, মানসিক অস্থিরতা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যদি থেকে যায়, সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID19 Covid guidelines
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE