দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র ।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চাইছে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে! এমনটাই অভিযোগ তুলল দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকার। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী মারলেনার দাবি, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি রাজনৈতিক ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে। একাধিক শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও বহু মাস ধরে দিল্লিতে আইএএস অফিসারদের নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছেন অতিশী। যদিও আপের তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
সাংবাদিক বৈঠক অতিশী বলেন, ‘‘কোনও প্রমাণ ছাড়াই ভুয়ো মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ, দিল্লির নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা অতীতের কিছু ঘটনা থেকে বুঝতে পারছি যে, একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।”
বৃহস্পতিবার চাকরি খুইয়েছেন কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভব কুমার। তাঁকে ছাঁটাই করেছেন দিল্লির ভিজিল্যান্স দফতরের বিশেষ সচিব ওয়াইভিভিজে রাজাশেখর। জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিভবকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। বিভবকে বরখাস্ত করাও বিজেপির ‘ষড়যন্ত্রের’ অংশ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অতিশী।
পাশাপাশি আপ নেত্রী আরও বলেছেন, ‘‘দিল্লিতে কোনও আমলা নিয়োগ করা হচ্ছে না। দিল্লির মধ্যে আমলাদের বদলিও করা হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকে আমলারা সরকারি বৈঠকে যোগ দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন।’’
অন্য দিকে, বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নিজেদের ‘দুর্নীতি’ আড়াল করতে ‘প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প তৈরি করছে’ কেজরীর দল।
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পরেই তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আপ প্রধান। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বন্দি তিহাড় জেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy