E-Paper

তালিকায় গরমিলে হতে পারে জেলও, কড়া বার্তা সিইও-র

তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করারও বিধান রয়েছে কমিশনের তরফে। যদিও সে কাজে কিছুটা সময় চেয়েছে রাজ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ০৯:২১
নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন। নিজস্ব চিত্র।

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) আগে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করতে বলা হয়েছে আজ, শুক্রবারের মধ্যে। ফলে মনে করা হচ্ছে, এসআইআর শুরু হবে দ্রুত। এই অবস্থায় সুনির্দিষ্ট আইনের উল্লেখ করে জেলাশাসক-সহ ভোটার তালিকার কাজে যুক্ত সব আধিকারিক-কর্মীদের কর্তব্য আগাম স্মরণ করিয়ে দিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কার্যালয়। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তালিকা সংস্কারের কাজে ইচ্ছাকৃত কোনও গাফিলতি বা গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।জেল-জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।

ভোটার তালিকায় অসাধু হস্তক্ষেপের অভিযোগে ইতিমধ্যেই বারুইপুর পূর্ব এবং ময়না বিধানসভার দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং দু’জন সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে (এইআরও) কমিশনের নির্দেশে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছে নবান্ন। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করারও বিধান রয়েছে কমিশনের তরফে। যদিও সে কাজে কিছুটা সময় চেয়েছে রাজ্য।

সম্প্রতি সিইও মনোজ আগরওয়াল যে লিখিত বার্তা সব জেলাশাসক, ইআরও এবং এইআরও-দের পাঠিয়েছেন, তাতে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, কমিশনের নিয়ন্ত্রণে সিইও-ই ভোটার তালিকার প্রস্তুতি, সংশোধন এবং পরিমার্জনের কাজ দেখভাল করবেন। সিইও-র নিয়ন্ত্রণে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকেরা নিজেদের এলাকায় তা করবেন। বিধানসভা এলাকাভিত্তিক ভাবে ইআরও এবং এইআরও-রা ওই কাজে দায়বদ্ধ থাকবেন। ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সব কাজের প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট সকলে কমিশনের ডেপুটেশনে থাকবেন। ভোটার তালিকার কাজে ইচ্ছাকৃত কোনও গাফিলতি, গরমিল বা দোষ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। হতে পারে জেল-জরিমানাও।

এই সূত্রে সব ইআরও এবং এইআরও-র উদ্দেশে কমিশনের বার্তা— নিজেদের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা অন্য কোনও আধিকারিককে দেওয়া যাবে না। যে কোনও পরিস্থিতিতে দেওয়া নিষিদ্ধ নিজেদের লগইন-আইডি ও পাসওয়ার্ডও। বিশ্লেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যে সাসপেন্ড হওয়া রাজ্যের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ ছিল, তাঁরা নিজেদের লগইন-আইডি এবং পাসওয়ার্ড চুক্তিভিত্তিক ডেটা-এন্ট্রি-অপারেটরের হাতে দিয়েছিলেন। কাজের চাপে কখনও কখনও আধিকারিকেরা তা যে করে থাকেন, কমিশনের কাছে লিখিত ভাবে কার্যত স্বীকারও করেছিলেন মুখ্যসচিব। ফলে এসআইআর শুরুর পরে কমিশন যে এই সব বিষয়ে অনমনীয় থাকবে, তা আগাম স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission of India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy