বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকসভা ভোট এবং তার পরে কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশন কারচুপি করেছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। লোকসভায় উদাহরণ দিয়েছিলেন কর্নাটক রাজ্যের। বিধানসভায় মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার। এমনকি, লোকসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটেও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কাছে এ বিষয়ে হলফনামার মাধ্যমে তথ্যপ্রমাণ চাইলেন।
রাহুলের কাছে এ সংক্রান্ত হলফনামা চাওয়া হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে রাহুল অসম্মান করতে চাইছেন বলে কমিশনের আধিকারিকেরা অভিযোগ করেছেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে ভোট চুরির উদাহরণ দিতে গিয়ে রাহুল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহাদেবপুরা বিধানসভায় ভয়ঙ্কর চুরি হয়েছে। সেখানে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি হয়েছে।’’ তিনি জানান, বেঙ্গালুরুর ওই লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ভোট। হারজিতের ব্যবধান ছিল ৩২ হাজারের সামান্য বেশি। আর শুধু মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনে দুই দলের তফাত ছিল ১ লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি ভোট।
লোকসভা ভোটের মাত্র চার মাস পরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকায় ৪০ লক্ষ নাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। হরিয়ানাতেও ভুল ভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ। গত বছর লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসন জিতেছিল বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। কিন্তু তার মাত্র পাঁচ মাস পরে রাজ্য নির্বাচনে ৫০টি আসনও অতিক্রম করতে পারেনি কংগ্রেস-এনসিপি (শরদ)-উদ্ধবসেনার মহাবিকাশ অঘাড়ী।
ভোটার তালিকা প্রস্তুতি এবং ভোটগ্রহণে অনিয়মের কারণেই এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, পাঁচটি কৌশলে কমিশনের মদতে কারচুপি হয়েছিল ভোটার তালিকায়। এ ছাড়া, ভোটগ্রহণের হার শেষপর্বে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়া নিয়েও রাহুল প্রশ্ন তোলেন। বার বার চাওয়া সত্ত্বেও কেন নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ পর্বের ভিডিয়ো দেয়নি, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।