Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Chandrababu Naidu

‘ক্ষমতায় না ফিরলে ২০২৪-এর পর আর ভোটে লড়ব না’, বলে দিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু

২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যূত করতে জনসংযোগ অভিযান শুরু করেছেন চন্দ্রবাবু।

ক্ষমতার ফিরতে জনসংযোগ অভিযান অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী চন্দ্রবাবুর।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
কুর্নুল শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২০
Share: Save:

অন্ধ্রপ্রদেশের আগামী বিধানসভা ভোটে দল জিততে না পারলে তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না। কুর্নুলের জনসভায় এ কথা জানালেন, সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। তিনি বলেন, ‘‘২০২৪ সালে দলকে ক্ষমতায় ফেরাতে না পারলে সেটাই হবে আমার শেষ নির্বাচন।’’

২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় জনসংযোগ অভিযান শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা চন্দ্রবাবু। সেই সূত্রেই বুধবার রাতে রায়লসীমার কুর্নুলে এসেছিলেন তিনি।

চন্দ্রবাবু তাঁর ছেলে নারা লোকেশকে ইতিমধ্যেই তেলুগু দেশম পার্টির সাংগঠনিক নানা দায়িত্ব দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি ২০১৪ সালের ভোটের কথা বলে অন্ধ্রের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী দলের পরবর্তী প্রজন্মকে সামনে আনার কৌশল নিলেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, আমজনতার ভাবাবেগ উস্কে দিতেই ‘রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে’ যাওয়ার সম্ভাবনা খুঁচিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সাম্প্রতিক একটি জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, অন্ধ্রে আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারেন জগন্মোহন। এই পরিস্থিতিতে চন্দ্রবাবুর মুখে ‘বিরোধী ঐক্যের’ কথাও শোনা গিয়েছে। রাজ্যের আর এক বিরোধী দল, চিত্রতারকা পবন কল্যাণের জনসেনার সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়েও তেলুগু দেশম পার্টির নেতৃত্বের আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও পবন-বিরোধী জোটে বিজেপিকে নিতে চাইলেও চন্দ্রবাবুর সে বিষয়ে আপত্তি রয়েছে বলে তেলুগু দেশম পার্টি সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE