কলকাতার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নালন্দা ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজে (এনআইএএস) ছাত্র পাঠানোর দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছিল মিজোরামের শ্রম ও নিয়োগ মন্ত্রী লালরিন মাওয়াইয়া রালতেকে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মিজো যুব কমিশনের চেয়ারম্যান টি সাংকুংগা। সাসপেন্ড হয়েছিলেন বিভাগীয় সচিব।
এতে মুখ পোড়ে সরকারের। নষ্ট হয় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। সরকারের ভাবমূর্তি ফেরাতে ও পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখে ফিরে আসা ৩২ জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা দায়িত্ব দেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল, কলকাতার বিশ্বজিৎ দেবকে। সংস্থাটির কাছ থেকে আংশিক টাকা আদায় করে আনলেন তিনি। মিজোরামে গত ন’বছর ধরে এজি-র পদে রয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর সায়েই সংস্থার চেয়ারম্যান -সহ অন্য কর্তাদের ডাকেন তিনি। রাজ্য সরকারকে প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি, পরিকাঠামো ও ক্যাম্পাসিং নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ায় তাঁদের চেপে ধরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪২ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে রাজি হয় সংস্থাটি। এজি বলেন, সংস্থা জানায়, বাকি টাকা দু’বছর ধরে ৩২ জন ছাত্রছাত্রীর পঠন-পাঠন ও থাকা-খাওয়ায় খরচ হয়েছে। প্রতিশ্রুতিও দেয়, পড়ুয়ারা ফিরে এলে তাদের পড়াশোনা, পরীক্ষা ও নিয়োগের ব্যবস্থাও করা হবে। বিশ্বজিৎবাবু জানান, ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ১০টি পোস্ট ডেটেড চেক গত কাল রাজ্যের হাতে তুলে দিয়েছে প্রতিষ্ঠান। বলা হয়েছে, একটি চেকও যদি বাউন্স করে, তবে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy