Advertisement
E-Paper

সুপ্রিয়াকে ধোঁকা দিয়ে নিধির সঙ্গে আমন, শুনে কী করলেন ঐশ্বর্যা

মুম্বইয়ের আন্ধেরি এলাকার একটি পাবে গিয়েছিলেন পেশায় কপিরাইটার ঐশ্বর্যা। সেখানে তাঁর পিছনেই বসেছিলেন আমন নামের এক যুবক। ওই নামেই তাঁকে ডাকছিলেন পাশের চেয়ারে বসে থাকা তাঁর বন্ধু। এর পর পিছনে বসে থাকা ওই দুই যুবকের কথোপকথন শুনতে পান ঐশ্বর্যা—

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:৫০
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

এক জনের গোপন কথা শুনে অন্যকে তা চালান করাকে রকের বাংলায় ‘চুকলি খাওয়া’ বলে। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলে— এমন কাজ সব সময়েই মন্দ কি না, তা নিয়ে এক কথায় ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলা খুব মুশকিল। যেমন মুম্বইয়ের ঐশ্বর্যা শর্মার কথাই ধরা যাক...

পাবে পিছনের চেয়ারে বসে থাকা দুই যুবকের উচ্চস্বরের আলোচনা শুনে ফেলার পর, ঐশ্বর্যা তা ফেসবুকে ফলাও করে লিখে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন সুপ্রিয়া নামের সম্পূর্ণ অজানা, অচেনা এক তরুণীকে।

সপ্তাহখানেক পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সতর্কবার্তাই ভাইরাল হয়ে গেল। কেউ প্রশংসা করলেন। কেউ বা এর পিছনে ঐশ্বর্যার ‘উদ্দেশ্য’ খুঁজে বেড়ালেন। তবে, বেশির ভাগই ওই ‘পোস্ট’ শেয়ার করে বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্ব দিয়ে দেখলেন।

আরও পড়ুন
নচিকেতার নীলাঞ্জনা এ বার বড় পরদায়

কে এই সুপ্রিয়া? এঁরা কেউই তাঁকে চেনেন না। তা হলে কেন সবাই মিলে সুপ্রিয়াকে সতর্ক করতে চাইলেন? কারণ, সুপ্রিয়ার ‘বয়ফ্রেন্ড’ তাঁকে ধোঁকা দিয়েছে। আর সেটাই পাবে বসে শুনে ফেলেছিলেন ঐশ্বর্যা।

বিষয়টা ঠিক কী হয়েছিল?

গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের আন্ধেরি এলাকার একটি পাবে গিয়েছিলেন পেশায় কপিরাইটার ঐশ্বর্যা। সেখানে তাঁর পিছনেই বসেছিলেন আমন নামের এক যুবক। ওই নামেই তাঁকে ডাকছিলেন পাশের চেয়ারে বসে থাকা তাঁর বন্ধু। এর পর পিছনে বসে থাকা ওই দুই যুবকের কথোপকথন শুনতে পান ঐশ্বর্যা—

‘প্রথম জন: ভাই, গত কাল রাতে আমি সুপ্রিয়াকে ধোঁকা দিয়ে নিধির সঙ্গে বেরিয়েছিলাম। জমে গিয়েছিল।

দ্বিতীয় জন: বন্ধু, সত্যিই পারিস বটে। সুপ্রিয়া জানতেই পারবে না।’

এই কথোপকথন শোনার পর ওই রাতে বাড়ি ফিরে ঐশ্বর্যা ফেসবুকে তন্ন তন্ন করে সুপ্রিয়া নামের তরুণীর খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু, কোন সুপ্রিয়ার কথা যে ওই যুবকেরা বলেছেন, সেটা বুঝতে না পেরে ঐশ্বর্যা ফেসবুকে লম্বা এক পোস্ট করেন। সেখানে উপরের কথোপকথনের পর তিনি লেখেন, ‘বন্ধু, সুপ্রিয়া জানতে পারবে।’ এর পর তাঁর সংযোজন ‘হ্যালো সুপ্রিয়া, তোমার বয়ফ্রেন্ডের নাম কি আমন? তোমাকে নিয়ে বুধবার কি তার কোথাও যাওয়ার কথা ছিল? তা হলে শুনে রাখো, সে তোমাকে ধোঁকা দিয়েছে। তার চোখে কালো ফ্রেমের চশমা ছিল। আর চেহারা, তার হাতে থাকা সিগারেটের চেয়েও পাতলা... সব সুপ্রিয়াকে বলছি, যার বয়ফ্রেন্ডের নাম আমন, জলদি তাকে ফোন করো... বলো, গোবরের স্যান্ডউইচ খা... এবং ব্রেক আপ! আমরা এখানে একে অপরের সাহায্যের জন্যই আছি।’

এর পর ঐশ্বর্যা সবাইকে এই বার্তাটি শেয়ার করার অনুরোধ করেন।

সপ্তাহখানেকের মধ্যেই প্রচুর মানুষ এই বার্তা শেয়ার করেন ফেসবুকে। বার্তা শুধু মুম্বইয়ে আটকে থাকে না। ভাইরাল হয়ে যায়।

আরও পড়ন
অর্পিতা আর ইন্দ্রনীলের নীরব প্রেমের গল্প

ঐশ্বর্যার ওই পোস্ট নিয়ে নানা জন নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘আশা করি সুপ্রিয়া নিশ্চয়ই এই পোস্টটি দেখেছেন।’ কেউ লিখেছেন, ‘মেয়েরা মেয়েদেরই পাশে থাকে।’ কেউ লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ঐশ্বর্যা।’ কেউ বা লিখেছেন, ‘এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য আছে?’ কারও মন্তব্য, ‘অন্যের কথা চুরি করে শোনাটা অন্যায়।’

ভালয় মন্দয় লেখা ওই সব মন্তব্য নিয়েও একটি পোস্ট করেছেন ঐশ্বর্যা। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কারও মন্তব্য জোর করে শুনিনি... ওই ছেলেরা এত জোরে কথা বলছিল যে, সবটা পাবের সকলেই শুনতে পেয়েছে বলে মনে হয়... এমনকী ওর কোন বান্ধবীদের শরীরের কোন অংশের মাপ কত, তাও শুনেছে গোটা পাব... আমার মনে হয়েছে লেখা উচিত, তাই লিখেছি... তাতে কেউ আমাকে পাগল ভাবছেন কি? তা হলে বলব, আমি আগে থেকেই তাই!’

শুনলেন তো সবটা। চাইলে আপনার মতটাও শেয়ার করে ফেলতে পারেন...

Cheating Viral Girlfriend Online Hunt
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy