মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হল এক পূর্ণবয়স্ক চিতার। নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল ওই স্ত্রী চিতাকে। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত নিজের ঘেরাটোপে শিকার ধরার সময়ে জখম হয়েছিল আট বছরের ওই প্রাণি। তার জেরেই শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে। কুনো জাতীয় উদ্যানে এখন চিতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬।
বন দফতর জানিয়েছে, যে চিতার মৃত্যু হয়েছে, তার নাম নভা। তার শরীরের বাঁ দিকের হাড় ভেঙেছিল। তা ছাড়া ক্ষত হয়েছিল। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা করার পরেও লাভ হয়নি। চিতার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নভার মৃত্যুর পরে কুনোয় এখন চিতার সংখ্যা ২৬। তার মধ্যে ছ’টি স্ত্রী, তিনটি পুরুষ এবং ১৭টি শাবক। ওই শাবকগুলির জন্ম ভারতেই হয়েছে। বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই চিতারা সুস্থ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে পাঁচটি স্ত্রী এবং তিনটি পুরুষ চিতা আনা হয়েছিল কুনো জাতীয় উদ্যানে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হয়েছিল কুনোয়। ভিন্দেশ থেকে আনা ওই চিতাদের কয়েকটির মৃত্যুও হয়েছে। তার পরে প্রশ্ন উঠেছে যে, ভারতের পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেনি বলেই কি তাদের মৃত্যু হয়েছে! বন দফতর যদিও তা মানেনি। এক আধিকারিক শনিবার বলেন, ‘‘কুনো জাতীয় উদ্যানের পরিবেশের সঙ্গে ওই চিতারা মানিয়ে নিয়েছে। অন্য শিকারী পশুদের সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছে। এখন নিয়মিত শিকার ধরছে তারা। দুই মা বীরা এবং নিরভা আর তাদের সদ্যোজাতেরাও সুস্থ রয়েছে।’’