তামিলনাড়ুর অণ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। অন্তত ৩০ বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে। ৩০ বছরের কারাদণ্ড পূরণ হওয়ার আগে তাঁর সাজা মকুব করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে চেন্নাইয়ের এক মহিলা আদালত। আসামিকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে আদালত।
গত বছরের ডিসেম্বরে অণ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে জ্ঞানশেখরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পেশায় বিরিয়ানি বিক্রেতা। গত ২৩ ডিসেম্বর জ্ঞানশেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ওই ছাত্রী তখন এক বন্ধুর সঙ্গে ক্যাম্পাসেই ছিলেন। অভিযোগ, জ্ঞানশেখর প্রথমে তরুণীর বন্ধুকে মারধর করেন। তার পরে তিনি ওই তরুণীকে যৌন নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ গ্রেফতার করে জ্ঞানশেখরকে। অণ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গত ডিসেম্বরে তোলপাড় হয়েছিল তামিলনাড়ু।
অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনেকেই দাবি করেন, অভিযুক্তের সঙ্গে তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকের যোগ রয়েছে। বিক্ষোভের মাঝে এমন দাবি উঠতে থাকায় অস্বস্তিতে পড়েছিল ডিএমকে। তামিলনাড়ুর আইনমন্ত্রী এস রঘুপতি জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত দলের কোনও সদস্য নন। তবে এর পরেও প্রশ্ন ওঠা বন্ধ হয়নি। পরে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকেও তামিলনাড়ুর বিধানসভায় দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “আমি আশ্বস্ত করছি অভিযুক্ত ডিএমকের সদস্য নন। তিনি ডিএমকের একজন সমর্থক ছিলেন, এ কথা আমরা অস্বীকার করছি না।”
আরও পড়ুন:
২৯ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং ১০০ পাতার চার্জশিটের ভিত্তিতে গত সপ্তাহেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে চেন্নাইয়ের মহিলা আদালত। আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করার সময়ে আদালত জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে যে যৌন নিগ্রহের মামলা গোটা তামিলনাড়ুকে আলোড়িত করেছিল, সেটির স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আদালতে জমা পড়েছে। এই নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই বলে জানিয়েছে আদালত।