Advertisement
E-Paper

পর্যটকের মৃত্যু, ক্ষুব্ধ উপত্যকা

চেন্নাইয়ের পর্যটকের পাথরের আঘাতে মৃত্যু নিয়ে উত্তপ্ত কাশ্মীরের রাজনীতি। এক দিকে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে তরজায় জড়াল শাসক ও বিরোধী। অন্য দিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীরা রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, এ কাজ যারা করেছে তারা উপত্যকার শুভার্থী নয়। ঘটনার সমালোচনা করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়তও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০৪:১৪
ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

চেন্নাইয়ের পর্যটকের পাথরের আঘাতে মৃত্যু নিয়ে উত্তপ্ত কাশ্মীরের রাজনীতি। এক দিকে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে তরজায় জড়াল শাসক ও বিরোধী। অন্য দিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীরা রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, এ কাজ যারা করেছে তারা উপত্যকার শুভার্থী নয়। ঘটনার সমালোচনা করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়তও।

নিহত থিরুমণির সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা-মাও। গতকাল রাতেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। আজ মেহবুবাকে ফোন করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পলানিস্বামী। উপত্যকা থেকে তামিলনাড়ুর ১৩০ জন পর্যটককে নিরাপদে ফেরাতে সাহায্য চান পলানীস্বামী। পরে মেহবুবা বলেন, ‘‘আমার মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে যাচ্ছে।’’ এই প্রসঙ্গে মেহবুবাকে ফের তুলোধনা করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তাঁর মতে, ‘‘পাথর যারা ছুড়ছে তারা কাশ্মীরের অতিথির প্রাণ নিল। কিন্তু কিছু দল এদের পদ্ধতিকেই সমর্থন করছে।’’ আগামিকাল সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মেহবুবা।

আজ সাংবাদিক বৈঠকে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা সাফ জানান, যারা পর্যটকদের উপরে হামলা করেছে তারা উপত্যকার শুভার্থী নন। কাশ্মীরের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। ‘নিরীহ কাশ্মীরিদের’ হত্যারও সমালোচনা করেন। প্রবীণ পর্যটন ব্যবসায়ী জি আর সিয়াহের মতে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। এ বার শান্তি ফেরাতে কিছু পদক্ষেপ করলে ভাল হয়।’’ চলতি মাসে দু’দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীর যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তখন তিনি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশা কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের। তাঁদের একাংশের দাবি, ঘনবসতি এলাকায় জঙ্গিদমন অভিযান বন্ধ রাখা উচিত। কারণ, তার ফলে অনেক সাধারণ নাগরিক নিহত হচ্ছেন। রবিবার শোপিয়ানে বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে আহত সুফেইল আহমেদ বাটেরও এ দিন মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনায় চাপে পড়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃত্বও। হুরিয়ত নেতৃত্ব বিবৃতি দিয়েছেন, পর্যটকদের উপরে হামলা মেনে নেওয়া যায় না। এমন কাণ্ডে যারা ঘটাচ্ছে তারা কাশ্মীরের ‘গণ আন্দোলন’-এর বদনাম করতে চায়। আগামিকাল থেকে হরতালও তুলে নিয়েছে হুরিয়ত। কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ দেখাতে বলা হয়েছে কাশ্মীরিদের।

পর্যটকদের উপরে হামলাকে প্রকাশ্যে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে বলেই মনে করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। পাকিস্তানেরও হাত দেখছেন অনেকে।

Death Tourist Stone Pelters Jammu and Kashmir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy