Advertisement
E-Paper

অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ‘অস্ত্র’ বিক্রি করছে কেন? প্রশ্ন ছত্তীসগঢ় হাই কোর্টের, হেমন্তের পুলিশ উদ্ধার করল ২১১টি ছুরি, নাম ১৯৩ জনের

বেশ কিছু দিন ধরে ছত্তীসগঢ়ে ছুরির আঘাতে জখম এবং মৃত্যুর মতো অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৪
knives

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম (এআই প্রণীত)।

সব্জি কাটার ছুরি ছাড়া অন্যরকম ছুরি কারা বরাত দিয়েছেন? অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, শপক্লুজ়ের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে তার তালিকা দিতে বলেছিল ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলির কাছ থেকে তথ্য জোগাড় করল হেমন্ত সোরেনের রাজ্যের পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ২১১টি ছুরি। উচ্চ আদালতে জমা পড়ল ১৯৩ জন ক্রেতার নাম। আদালতের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে নোটিস দেওয়া হোক। পাশাপাশি ছত্তীসগঢ় সরকারের কাছেও একটি আবেদন রাখল আদালত।

বেশ কিছু দিন ধরে ছত্তীসগঢ়ে ছুরির আঘাতে জখম এবং মৃত্যুর মতো অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রমেশ সিংহ এবং বিচারপতি বিভু দত্ত গুরুর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এখন পানের দোকান থেকে উপহারের দোকান, সর্বত্র ছুরি বিক্রি হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের কর পুলিশ। কিন্তু ছুরিকাঘাতের ঘটনার কমতি নেই। হাই কোর্ট আরও জানায়, শুধু খোলাবাজার নয়, ই-কমার্স সংস্থাগুলো থেকেও অস্ত্র কিনছেন অনেকে।

গত ২৫ অগস্ট এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল, শপক্লুজ়ের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে একটি নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বলা হয়েছিল যে বা যাঁরা সব্জি কাটার ছুরি ব্যতীত অন্য রকমের ছুরির বরাত দিয়েছেন এবং কিনেছেন, তাঁদের নাম জানাতে হবে। সেই সঙ্গে অনলাইনে কেনা ছুরিগুলি উদ্ধার করতে হবে পুলিশকে।

সম্প্রতি ওই মামলার শুনানিতে আদালতে ছত্তীসগঢ় পুলিশ ১৯৩ জনের নাম-ঠিকানা জমা দিয়েছে। এঁদের কাছ থেকে মোট ২১১টি ছুরি (সব্জি কাটার ছুরি বাদে) উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা আদালতকে এ-ও জানিয়েছে, ২০২৪ সালে অস্ত্র আইনে এ সংক্রান্ত মোট ১৩৯৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ের বিভিন্ন থানায় ৬৭৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কিছু মামলায় গ্রেফতারও হয়েছে। ওই তথ্য পাওয়ার পরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত। তাদের বক্তব্য, তথ্য বলছে সমাজের অবস্থা কেমন! এর পর সরকারের উদ্দেশে হাই কোর্টের বার্তা, খোলাবাজার বা ই-কমার্স স‌ংস্থা থেকে যাতে অস্ত্র কেনা না যায়, তার দিকে নজর দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে কঠিন পদক্ষেপ করা দরকার। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

Crime Chhattisgarh E-Commerce Company
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy