Advertisement
E-Paper

শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঝগড়া মানেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা নয়! জানাল আদালত

আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, শুধুমাত্র শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়া মানেই তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া নয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:১৯
আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করল আদালত।

আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করল আদালত। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়া মানেই তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা নয়! সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট। মৃত্যুর সময় বা তার ঠিক আগে বৈবাহিক জীবনের সাধারণ অশান্তির বাইরে মাত্রাতিরিক্ত কিছু না ঘটলে, সেটিকে প্ররোচনার আওতায় ফেলা যায় না, এমনটাই মনে করছে আদালত। মামলায় অভিযুক্ত স্বামী এবং শ্বশুরকে বেকসুর খালাসও করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

ছত্তীসগঢ়ের এই মামলার সূত্রপাত ২০১৩ সালে। ওই বছরের ডিসেম্বরে বাপের বাড়িতে থাকাকালীন নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন অভিযুক্তের স্ত্রী। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয় মহিলার। ওই ঘটনার পরে মৃতের স্বামী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় মৃতার পরিবার। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মহিলাকে অপমান করতেন বলে অভিযোগ এবং তার জেরেই ওই মহিলা আত্মঘাতী হন বলে দাবি। ওই মামলায় ২০১৬ সালে রায়পুরের এক আদালত মহিলার স্বামী এবং শ্বশুরকে দোষী সাব্যস্ত করে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত।

রায়পুরের ওই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতের স্বামী এবং শ্বশুর। ওই মামলায় সম্প্রতি হাই কোর্ট উভয়কেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বৈবাহিক জীবনে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঝগড়া এতটাও প্ররোচনামূলক বলে বিবেচনা করা যায় না। যদি ঘটনার দিন বা তার ঠিক আগে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বিবাহিত জীবনের সাধারণ অশান্তির চেয়েও অনেক বেশি, সে ক্ষেত্রে তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টও একটি মামলায় জানিয়েছে, স্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির লোকদের গঞ্জনাকে নিষ্ঠুরতা হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। এটি পারিবারিক জীবনের অঙ্গ বলেই ওই মামলায় জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

Chhattisgarh Couple Abetment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy