রায় বিপক্ষে গেলেই বিচারপতিদের সম্পর্কে অবমাননাকর অভিযোগ করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই।
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনে দায়ের করা একটি ফৌজদারি মামলা থেকে তেলঙ্গানা হাই কোর্টে রেহাই পান। এর পরেই আবেদনকারী এন পেড্ডি রাজু ও তাঁর আইনজীবীরা ওই মামলা তেলঙ্গানা হাই কোর্ট থেকে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। তাঁরা তেলঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।
কিন্তু শীর্ষ আদালত উল্টে তেলঙ্গানা হাই কোর্ট সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য রাজু ও তাঁর আইনজীবীদের কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে। আজ অবশ্য রাজুর আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে দাবি করেন, তেলঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি ভট্টাচার্য রাজুর ক্ষমাপ্রার্থনার আর্জি মঞ্জুর করেছেন।
ফলে মামলা বন্ধ করে দিলেও প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘এই ধরনের কার্যকলাপের কড়া সমালোচনা করা উচিত। কারণ, আইনজীবীদের যে কোর্টের অফিসার হিসেবে দায়িত্ব আছে তা ১৯৫৪ সালেই শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাই কোনও আদালতের বিচারপতি সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে এমন আবেদনে স্বাক্ষর করার আগে আইনজীবীদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’’
অন্য দিকে আদালতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ নিয়েও অন্য একটি মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেঞ্চ। বিচারবিভাগীয় বা আধা বিচারবিভাগীয় কাজে ‘জেনারেটিভ এআই’ বা ‘জেনএআই’-এর ব্যবহারের জন্য নীতি তৈরি করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, হ্যাঁ। আমরা আমাদের বদলে দেওয়া (মর্ফড) ছবি দেখেছি।’’ দু’সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)