তাঁর তাওয়াং সফরকে যতই ‘নিছক ধর্মীয়’ বলা হোক, চিন নিয়ে মন্তব্য থামাচ্ছেন না দলাই লামা।
তিব্বতি ধর্মগুরুর বাছাই করা পাঞ্চেন লামা (দলাই লামার পরবর্তী পদাধিকারী)-কে বন্দি করে চিন নিজের পছন্দের পাঞ্চেন লামাকে সেই আসনে বসিয়েছে। পরবর্তী দলাই লামা বাছাইয়ের কাজও শুরু করেছে তারা। সেই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে দলাই লামা আজ বলেন, ‘‘চিন যে ভাবে তিব্বতিদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমার উত্তরসূরি নির্বাচন করেছে, তা অন্যায়। কেউ জানে না পরের দলাই লামা কোথা থেকে আসবেন। হয়তো আমার মৃত্যুর সময়ে তেমন কোনও ইঙ্গিত মিলবে। কিন্তু এখনও তা মেলেনি। চিন জোর করে কাউকে দলাই লামা বানিয়ে দিতে পারে না। চিন বরং আগে মাও জে দং, দেং জিয়াও পিংয়ের অবতারদের খুঁজে বের করুক।’’ তিনি আরও জানান, দলাই লামা পদের প্রাসঙ্গিকতা সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি থেকে ওই পদকে পৃথক করা হয়েছে। তাই এই পদের আর প্রয়োজন আছে কি না, তা তিব্বতিরাই ঠিক করবেন।
দলাই লামার অরুণাচলপ্রদেশ সফর ঘিরে সম্প্রতি তিক্ত হয়েছে ভারত-চিন সম্পর্ক। দলাই বলেন, ‘‘গোটা বিশ্ব জানে আমি আর স্বাধীনতা চাইছি না। চিন আমার সফরসঙ্গী হিসেবে তাদের প্রতিনিধি পাঠাক। দেখুক আমি চিনের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছি কি না। আমরা এক-চিন নীতি মানতে তৈরি। তারা তিব্বতকে স্বশাসন দিয়ে দিলেই ছ’দশকের সমস্যা মিটে যায়।’’ তিব্বতে তাঁর জন্মস্থান টাকস্টারে যেতে ইচ্ছুক দলাই অভিযোগ করেন, চিন সরকার দেশবাসীকে তাঁর সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে। প্রেমের আদর্শে চিনের আরও এক সাংস্কৃতিক বিপ্লব প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিকাশ-নীতির প্রশংসা করার পাশাপশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন দলাই লামা। বলেন, ‘‘এই ধরনের নীতি মুক্ত চিন্তার বিরোধী। আমেরিকায় অনেক তিব্বতি শরণার্থী আছেন।’’
দলাই লামাকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবিতে তাওয়াংয়ে হাতে-হাতে ও অনলাইনে সই সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে আরএসএস। অভিযানের নেতা লোন্ডুপ চোসাং জানান, ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার সই সংগ্রহ হয়েছে। ২৫ হাজার সই সংগ্রহ হলে স্মারকলিপি দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy