লাদাখে ভারতীয় সেনার কনভয়— ফাইল চিত্র।
লাদাখে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডাতেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংলগ্ন অঞ্চলে পরস্পরের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে বসে রয়েছে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী। মার্চে ঠান্ডা কিছুটা কমার পরে লাল ফৌজ পিছু হটবে, তেমন লক্ষণও আপাতত নেই। সরকারি সূত্রে খবর, জুলাইয়ে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে ভারতের মাটিতে আধিপত্য বিস্তারের এই চেষ্টাকে ফলাও করে প্রচার করতে চায় বেজিং। তাই তার আগে চিনা সেনা এলএসি লাগোয়া লাদাখ থেকে নড়তে চাইবে না বলে ধারণা দিল্লির।
শীঘ্রই দু’দেশের মধ্যে কমান্ডার স্তরে নবম বৈঠক আয়োজিত হবে। তাতে উপস্থিত থাকবেন বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তাও। কিন্তু সংঘর্ষ-বিন্দু থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনও ইঙ্গিত বেজিংয়ের তরফ থেকে এখনও নেই। ১জুলাই পার্টির একশো বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে মহা সমারোহে অনুষ্ঠান হবে বেজিংয়ে। দলের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। সূত্রের খবর, তার আগে নড়বে না লালফৌজ। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় সীমান্তে আধিপত্য বিস্তারের প্রতীকী ছবি ওই বক্তৃতায় ফুটে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য, লাদাখে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ শুরুর আগে চিনা সেনাকে পিছু হটাতে গত আট মাস লাগাতার চেষ্টা করেছে মোদী সরকার। কাজ না-হওয়ায় সম্প্রতি সেনাদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে ৭৩তম সেনাদিবসে রক্তগরম করা বক্তৃতা দিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। জানিয়েছেন, গত বছর জরুরি ভিত্তিতে ৫ হাজার কোটি টাকার আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ কিনেছেন তাঁরা। সরাসরি চিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পূর্ব লাদাখের এলএসি বরাবর স্থিতিশীলতা নষ্টের একতরফা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’’ কিন্তু এই সমস্ত কিছুর পরেও আপাতত গেড়ে বসে থাকার বিষয়ে অনড় চিনা বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy