হরিণ শিকারের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মধ্যে। প্রতীকী ছবি।
হরিণ শিকারের পর তার মাংস দিয়ে বনভোজন করার অভিযোগ উঠল এক দল লোকের বিরুদ্ধে। শুধু বনভোজনই নয়, সেই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছেড়ে পুলিশ এবং বন দফতরকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে শিকারির দল। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিষ্ণোই সম্প্রদায় এবং বন্যপ্রাণ সুরক্ষা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সোমবার এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি হরিণ শিকারের পর সেটিকে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার পর সেটির চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটা হচ্ছে। সেই মাংস দিয়ে আবার বনভোজনও করা হচ্ছে। ভিডিয়োটি দেখার পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অনুমান করছে, ঘটনাটি লুনি থানা এলাকার পান্নে সিংহ নগরের কালিজলের আশপাশের। ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছে দ্য বিষ্ণোই টাইগার ফোর্স। তারা পুলিশ কমিশনার, ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। চিঙ্কারা বাঁচানোর জন্য ওই অঞ্চলে বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনীর দাবিও তুলেছে তারা। বিষ্ণোই টাইগার ফোর্সের প্রধান রাম পাল ভাওয়ার বলেন, “আগামী দু’দিনের মধ্যে অপরাধীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দফতরে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখানো হবে।”
বন্যপ্রাণ সুরক্ষা কর্মী ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, জোধপুর-বারমেঢ় সীমানায় চোরাশিকারিদের অবাধ যাতায়াত শুরু হয়েছে। ০০৯ নামে একটি চোরাশিকারির দল দীর্ঘ দিন ধরে এই অঞ্চলে সক্রিয়। সেই দলটিই এই হিরণ শিকার করছে। সেই দলেরই এক সদস্য ভবানী সিংহ সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়ো প্রকাশ করে পুলিশকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy