আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জয় উদযাপন করার সময় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১১জনের। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই ক্রিকেট দলের বিপণনী প্রধান-সহ চার জনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল কর্নাটক সিআইডি। তবে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের আইনজীবীরা সিআইডির আবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, পদপিষ্টকাণ্ডের মামলাটি কর্ণাটক হাই কোর্টে বিচারাধীন। সেই আপত্তির জেরেই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় সিআইডি। ন’ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপণনী প্রধান নিখিল সোসালে, পরিচালক ও সহ-সভাপতি সুনীল ম্যাথিউ, ম্যানেজার কিরণ কুমার ও ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কস্ প্রাইভেট লিমিটেডের এক আধিকারিক শমন্থ এস পিকে। তাঁদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হয়েছিল। শুনানির সময় ক্রিকেট দলের বিপণনী প্রধানের আইনজীবী বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই গ্রেফতারের বৈধতা নিয়ে একটি মামলা হাই কোর্টের বিচারাধীন।’’ তাঁর প্রশ্ন ছিল, অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার এত তাড়া কিসের?
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গে বিচারক সহকারী পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেছিলেন, হেফাজতের জন্য তাড়াহুড়ো করে কী লাভ? পুলিশের তরফে যুক্তি ছিল, তদন্তের জন্য হেফাজতে নেওয়া অপরিহার্য। তবে মামলা প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেল শশীকিরণ শেঠীর সঙ্গে আলোচনা করার পরে সহকারী পুলিশ সুপার জানান, হাই কোর্টের রায় না হওয়া পর্যন্ত আপাতত হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে না। এর পরেই সিআইডির পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় আবেদন। আপাতত হেফাজতে নেওয়া সংক্রান্ত মামলাটি স্থগিত রাখা হয়েছে।