এসআই আরে ‘কারচুপি’র অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ অগস্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করবে তাঁর দলের সাংসদেরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই কর্মসূচির বিষয়ে ইতিমধ্যে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় শুরু হয়েছে।
গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দরকারে কমিশনের দফতর ঘেরাও করবে তৃণমূল। তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলায় এসআইআর-এ বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হলে প্রতিবাদ হবেই। গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রীর ওই প্রস্তাবই পেশ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত যা খবর, তৃণমূল একক ভাবে নয়, বিরোধী দলগুলি সম্মিলিত ভাবে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে চলেছে।
তৃণমূলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এসআইআর প্রত্যাহারের দাবিতে ‘ইন্ডিয়া’ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করবে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে ‘ইন্ডিয়া’-র সংসদীয় দলের নেতাদের বৈঠকে মমতার ওই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। তা গৃহীতও হয়েছে। সেই অনুযায়ী কমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’-র সাংসদেরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার ওই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিজেপি বিরোধী জোটের নেতারা। একই সঙ্গে সংসদের দুই কক্ষেই এসআইআর প্রত্যাহারের দাবিতে সুর চড়বে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, গত বুধবার সংসদ চত্বরে ডাযমন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এসআইআর হল ‘সাইলেন্ট ইনভিজিবল রিগিং।’’’ সেই অভিযোগ তুলে ধরে এসআইআর-কে ‘চুপি চুপি ভোটে কারচুপি’ বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে মমতা, অভিষেকের দল। গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদদের হাতে ‘ভোট চুরি বন্ধ কর’ লেখা পোস্টারও দেখা যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই রকম পোস্টারই নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও অভিযানে ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য, এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে সংসদের দুই কক্ষে দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এসআইআর নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই নোটিস খারিজ হয়ে যায়। ঘটনাচক্রে সংসদের মকরদ্বারের সামনে এসআইআর প্রত্যাহারের দাবিকে সামনে রেখে বিক্ষোভ করেছেন ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা।