এ বার বিপর্যয় জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায়। মঙ্গলবার দুপুরে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে ডোডায় ভেসে গেল একের পর এক বাড়ি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার জনের। অনেকে এখনও নিখোঁজ।
মঙ্গলবার জম্মুর কাঠুয়া, সাম্বা, ডোডা, রামবান এবং কিশ্তওয়াড়-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছিল। এর পরেই মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় ডোডায়। কিছু ক্ষণের মধ্যে হড়পা বানও আসে। মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনার পর প্রবল বর্ষণের পর ভূমিধসের আশঙ্কায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে সাময়িক ভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে জম্মু বিভাগের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাউই নদীর জল বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। অনেক নদী ও খালের জলস্তর ইতিমধ্যেই বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে। রাতভর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। সে জন্য শুরু হয়েছে প্রস্তুতিও। ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে স্থানীয়দের অন্যত্র সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত ১৪ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ হড়পা বান নেমে আসে। চশোতী গ্রামের অদূরে মচৈল মাতা মন্দিরের কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। সেই ঘটনার সপ্তাহখানেকের মাথায় ফের একই রকম বিপর্যয় ঘটল কাশ্মীরে।