বিপর্যস্ত হিমাচলে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি হিমাচলে। শুক্রবার গভীর রাতের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল শিমলার সড়ক পথ। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
হিমাচল প্রদেশের শিমলা জেলার রামপুরে শুক্রবার গভীর রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। এতে তাকলোচ এলাকায় নেগুলসারির কাছে ৩০ মিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে শিমলার বাকি অঞ্চল থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কিন্নর জেলা। বন্ধ রাজ্যের আরও ৫৮টি সড়ক। তবে শিমলার জেলাশাসক অনুপম কাশ্যপ জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুমান, বাসিন্দারা অক্ষত রয়েছেন। মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, রাজ্যে আগামী ২২ অগস্ট পর্যন্ত চলতে পারে ভারী বৃষ্টি। শুক্রবারই হিমাচলের ১২টি জেলার মধ্যে ১০টিতে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার পর্য়ন্ত চাম্বা, কাংড়া, শিমলা এবং সিরমৌর জেলার কয়েকটি এলাকায় রয়েছে হড়পা বানের আশঙ্কাও। ভারী বৃষ্টির কারণে ব্যাহত রাজ্যের ৩১টি বিদ্যুৎ এবং চারটি জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজও।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই থেকেই মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের শিমলা, মান্ডি এবং কুলু জেলা। ধসের কবলে ভেঙেছে বহু ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল। বহু মানুষ নিখোঁজ, মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সরকারি সূত্রে খবর, ২৭ জুন থেকে ১২ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনাতেই প্রাণ গিয়েছে ১১০ জনের। ৩১ জুলাই রাতের হড়পা বানে কুলুর নির্মান্দ, মালানা, মান্ডির পাধার, শিমলার রামপুরে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করেছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। বিপর্যস্ত এলাকায় এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, শিমলায় ১৪টি রাস্তা বন্ধ। সিরমৌর, লাহুল ও স্পিতিতে একটি করে রাস্তা বন্ধ, কুলুতে ৮টি, কিন্নৌরে তিনটি এবং কাংড়ায় ১২টি রাস্তা বন্ধ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, হিমাচলে বৃষ্টিপাত এখনই থামছে না। ফলে আরও ধস এবং হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy