বানভাসি: এমনই অবস্থা ছিল কোচি বিমানবন্দরের। ফাইল চিত্র।
একটু একটু করে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কেরল। তবে কোচি বিমানবন্দর এখনও বন্ধ। আগামিকাল, রবিবারের মধ্যে ভেঙে যাওয়া পাঁচিল নির্মাণ শেষ হবে। সঙ্গে চলছে বিমানবন্দর পরিষ্কার করার কাজও।
শুক্রবার কোচি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীনেশন ফোনে বলেন, ‘‘২৯ অগস্ট থেকে বিমানবন্দর চালু করে ফেলতে পারব।’’ রবিবার পর্যন্ত পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ শেষ করে এয়ার ট্রাফিক
কন্ট্রোল (এটিসি) এবং বিমানসংস্থাগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে বিমানবন্দর। সোম ও মঙ্গলবার তারা বিমান ওঠানামার বিভিন্ন যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবে।
দীনেশন জানান, বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকা থেকে জল নামছে দ্রুত। যান চলাচলও শুরু হয়েছে। ফলে বিমানবন্দরের কর্মীরাও এ বার আসছেন। বিমানবন্দর থেকে বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরে টার্মিনাল বিল্ডিং পুরো জীবাণুমুক্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়াল আমিরশাহিও
বিমানসংস্থাগুলিও সাহায্যে এগিয়ে আসছে। এয়ার ইন্ডিয়া গত কয়েক দিন কোচি বিমানবন্দরের কাছে গারুদা নৌ-ঘাঁটি থেকে দিনে দু’টো করে ছোট বিমান চালাচ্ছে। একটি বিমান সরাসরি বেঙ্গালুরু থেকে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে। অন্য উড়ানটি বেঙ্গালুরু থেকে কোয়ম্বত্তূর ঘুরে কোচি যাচ্ছে। কলকাতা থেকে প্রচুর ত্রাণসামগ্রী তুলে তা নিজেদের বিমানে চাপিয়ে বেঙ্গালুরু হয়ে তিরুঅনন্তপুরম পৌঁছে দিয়েছে বেসরকারি এক বিমানসংস্থা।
আরও পড়ুন: কেরলে বন্যায় বাড়িতেই ঢুকে আসছে বিষধর সব সাপ, দেখুন ভিডিয়ো
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার মহেশতলায় এক আবাসনের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষই আদতে কেরলের বাসিন্দা। তাঁরাও প্রচুর ত্রাণ সামগ্রী বিমানসংস্থার মাধ্যমে কেরলে পৌঁছতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy