মন্দিরের সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণ। ছবি: পিটিআই
মন্দিরের সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ তালকা নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তির মা আজ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। তাঁকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।
মহম্মদ তালকার মা, হফসা বিবি ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে এই বিস্ফোরণ-কাণ্ডে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। তাঁর দাবি, তালকা পেশায় এক জন স্ক্র্যাপ ডিলার। পুরোনো গাড়ি কেনা-বেচার কাজ করেন তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৩ অক্টোবর যে মারুতি-৮০০ গাড়িতে করে সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার সময়ে বিস্ফোরণ হয়, তা তালকার থেকেই কিনেছিলেন মুবিন। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় মুবিনের। সেই গাড়িতে পেরেক, সিলিন্ডার ও অন্যান্য বিস্ফোরক থাকায় পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরক বানানোর চেষ্টায় ছিলেন মুবিন। এর পরেই এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি-যোগের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাঁচ জনকে চিহ্নিত করা হয়। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি এই তদন্ত এনআইএ-র হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে।
এনআইএ তদন্ত শুরু করার পরে পটাসিয়াম নাইট্রেট, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, সালফার এবং কাঠকয়লা-সহ ১০৯ রকমের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় মুবিন ও বাকি অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। অভিযুক্ত মহম্মদ তালকা নবাব খানের ছেলে। ১৯৯৮ সালে এই কোয়ম্বত্তূরে শহরেই ঘটা ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত সৈয়দ আহমেদ বাশার ভাই ছিল নবাব। সেই বিস্ফোরণে প্রাণ হারান অন্তত ৬০ জন।
তালকার মা জানান, গত মঙ্গলবার পুলিশ তালকার কাছে এসে ওই গাড়ির ক্রেতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁকে মুবিনের বাড়ি চিনিয়ে দিতেও বলে। তার পরে সেখান থেকে চলে গেলেও পরে তালকাকে গ্রেফতার করা হয়। সকলের সাহায্য চেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলের ভবিষ্যতের কী হবে জানি না। ৩০ বছর ধরে জেলে দৌড়োদৌড়ি করছি আমি। এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়ানো হলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy