প্রতীকী ছবি
বিজেপির উত্থানে মুসলিম মনে ভীতি কাটাতে এ বারে একটি কমিটি গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি প্রতিনিধির পাশাপাশি সংখ্যালঘু সমাজের সদস্যদেরও রাখা হচ্ছে এই কমিটিতে।
ঘরোয়া মহলে বিজেপি বলে থাকে, সংখ্যালঘু ভোট তারা পায় না। ছোট-বড় নেতারা প্রকাশ্যেও সে কথা বলেছেন অনেক বার। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেও জয়ের পরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। তিন তালাকের মতো বিষয়কে হাতিয়ার করে মুসলিমদের একাংশের মন জয়ের চেষ্টা করেন খোদ মোদী। আজ সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাকের শুনানি শুরুর দিনেই মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভিকে দিয়ে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তিন বছরের সাফল্য তুলে ধরান মোদী। তার দু’দিন আগে মোদী নিজেই সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। আর সেখানেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন— মুসলিমদের মনে ভীতি দূর করা থেকে যাবতীয় অভিযোগ শোনার জন্য একটি কমিটি গড়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিরা জানান, সঙ্ঘ নেতাদের উঁচু সুরের বক্তৃতা ও গোরক্ষকদের বাড়াবাড়িতে মুসলিমরা সত্যিই ভীত। কেউ নিরাপত্তার অভাব বোধ করুন, সেটি কাম্য নয়। আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব সময়ে কথা বলাটাও সম্ভব নয়। তাই এমন একটি মঞ্চ দরকার, যেখানে সংখ্যালঘুদের উদ্বেগ সরাসরি তোলা যায়।
মোদী সরকার এই প্রয়াসকে যতই অরাজনৈতিক বলুক, বিরোধীরা রাজনৈতিক অভিসন্ধিই দেখছে। তিন তালাক এমন একটি বিষয়, যেটির সঙ্গে মুসলিম মহিলাদের মৌলিক অধিকার যুক্ত। তাই প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করাও সম্ভব হচ্ছে না বিরোধীদের। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, আসলে মেরুকরণের রাজনীতিই করছেন মোদী। আপত্তি জানিয়ে নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই আইন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু বিজেপি মনে করছে, আধুনিক মনস্ক সংখ্যালঘুরা বিষয়টিকে সমর্থনই করবেন। তিন তালাকের শিকার গরিব মহিলাদের সঙ্গে নিতে পারলে দলের ভোটব্যাঙ্কও বাড়বে, আবার উদার হিন্দুদের কাছেও বার্তা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy