২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যে রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আট। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৩৬। সঙ্গে জোড়ে ন’টি মৃত্যুর ঘটনা। চলতি বছরে সেই রোগেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৯-এ। সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। চিত্রটা কেরলের। এমন পরিসংখ্যান সামনে আসার পরে নড়েচড়ে বসেছে কেরল সরকার। মস্তিষ্কে বিরল ‘প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস’ বা চলিত ভাষায় ‘মস্তিষ্কভোজী অ্যামিবা’র সংক্রমণের জেরেই এমন পরিস্থিতি। সরকারের তরফে পুকুর, জলাশয়ে সাঁতার কাটা বা স্নান করা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই অ্যামিবা মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। যা সংক্রমণের আকার নিয়ে মস্তিষ্কের স্নায়ুর জটিল বিন্যাসকে ধ্বংস করে দেয়।
অ্যামিবা পরিস্থিতি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতিও। রাজ্যের বিরোধী দলগুলির দাবি ছিল, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘অন্ধকার হোঁচট খাচ্ছে’ কেরল সরকার। কেরল বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল ইউডিএফ-ও অভিযোগ জানিয়েছিল অ্যামিবার সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ সরকার। এমন পরিস্থিতি আজ বিধানসভায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, ‘‘দেশের মধ্যে কেরলই প্রথম রাজ্য যেখানে এই রোগের মোকাবিলায় নির্দেশিকা জারি হয়েছে।’’ সম্প্রতি কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ‘মস্তিষ্কভোজী অ্যামিবা’ থেকে কী ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে, সে বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জলাশয় থেকে জলের নমুনাও সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)