বিজেপি প্রদেশ সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের অসমিয়া সংজ্ঞাকে ঘিরে বরাক উপত্যকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বরাকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই বিষয়টিকে সামনে রেখে প্রচারে নেমে পড়েছে কংগ্রেসও।
বিজেপি সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য শিলচরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অসমে যারা বসবাস করেন তাঁরা সবাই অসমিয়া। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র দীপন দেওয়ানজি বলেন, ‘‘আমরা অসমবাসী বলে গর্ব বোধ করি। আমরা অসমে বসবাসকারী বাঙালি। কিন্তু আমাদের গায়ে ‘অসমিয়া’ লেবেল সেঁটে দিলে তা আমরা মানব না। কারণ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে।’’ প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কর্ণেন্দু ভট্টাচার্য বরাক উপত্যকার ভাষা আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘অসমিয়া তকমা চাপানোর প্রতিবাদেই ১৯৬১ সালের ১৯ মে এখানে ১১ জন তরুণ-তরুণী প্রাণ দিয়েছেন। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আজও সবাই জোটবদ্ধ।’’ আরও একবার বরাকে আগুন না জ্বালাতে কর্ণেন্দুবাবু বিজেপিকে সতর্ক করে দেন। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের নীরবতায় বিস্ময়ও প্রকাশ করেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম লস্কর। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়ক দিলীপ পালরা মেরুদণ্ডহীন। এখানে বিপ্লবের কথা বলেন। প্রদেশ নেতাদের সামনে মুখ খোলার সাহস নেই।’’ এ দিকে, বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্বের জন্য ক’দিন থেকে অসমের কংগ্রেস নেতারাও বিজেপির সুরে গলা মিলিয়েছে। কাল মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও গুয়াহাটিতে বলেন, তাদের বিদেশি বলে সন্দেহের নজরে দেখা উচিত নয়। তারা অখণ্ড ভারতেরই নাগরিক।
তিনি অসমিয়া ও বাঙালির পারস্পরিক সহাবস্থানের কথাও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন। আজ একই কথা বলেন শিলচর জেলা কংগ্রেস সভাপতি অরুণ দত্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে চায়। ১৯৭১ সালের পরও যে সব হিন্দু পরিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy