বিজেপির হয়ে ভোট চুরি করছে নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই চুরির প্রমাণ কংগ্রেসের কাছে আছে বলে আজ দাবি করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, সেই প্রমাণ পারমাণবিক বোমার সমতুল। তা ফাটলে কমিশনকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। পাল্টা বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, রাহুলের যে কোনও সাংবিধানিক সংস্থায় বিশ্বাস নেই তা ‘পরমাণু বোমা’ মন্তব্যেই স্পষ্ট।
আজ দুপুরে বিহারের বিশেষ সংশোধিত ভোটার তালিকার প্রথম খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। যার বিরুদ্ধে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা-সহ বিরোধী সাংসদেরা। রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে বিজেপির জন্য ভোট চুরি করছে নির্বাচন কমিশন। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের পরেই ভোট চুরি হচ্ছে বলে সন্দেহ হয়েছিল। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের পরে রাজ্য স্তরে তদন্ত শুরু করে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে তালিকা সংশোধন করে এক কোটি ভোটারের নাম জোড়া হয়েছে।.. ছ’মাস তদন্ত করে দল যা হাতে পেয়েছে তা পরমাণু বোমা। যা ফাটলে কমিশনের অস্তিত্বথাকবে না।’’
ওই ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত কমিশনের বড় থেকে ছোট কোনও কর্তাকেই রেহাই দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। যা বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কম নয়। অবসরের পরেও আপনাদের খুঁজে বার করা হবে।’’
রাহুলের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাগিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নিত্যদিনের করা ওই সব ভিত্তিহীন অভিযোগকে উপেক্ষা করার নীতি নিয়েছে কমিশন। ফি দিনের হুমকি সত্ত্বেও সমস্তনির্বাচন আধিকারিককে পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যকে উপেক্ষা করাই বাঞ্ছনীয়। কমিশন আরও জানিয়েছে, এক বছর আগের লোকসভা নির্বাচনের পরে দশটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার মধ্যে একটিও কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল না। এখন এ সব সব দুর্ভাগ্যজনক।
নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থাকে আক্রমণ শানানো আসলে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয়সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।তিনি বলেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করতে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। এটা নতুন নয়। ২০১৪ সালে তো আমাদের সরকার ছিল না। তাহলে আমরা জিতলাম কী ভাবে!আসলে ওঁরা হারলেই তখন নির্বাচন কমিশনের দোষ।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)