মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে জ্ঞানেশ কুমারকে অপসারণ বা ‘ইমপিচমেন্ট’-এর প্রস্তাব আনা নিয়ে কংগ্রেস নতুন করে সক্রিয় হল। সূত্রের খবর, কংগ্রেস এ বিষয়ে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের শরিক দলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঐকমত্য হলে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাব আনা হতে পারে।
অগস্ট মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনেই জ্ঞানেশ কুমারকে অপসারণের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বিরোধীরা ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ তোলার পরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করেছিলেন। তার পরেই বিরোধী শিবিরের সংসদীয় দলগুলির নেতানেত্রীদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। যার পরে আটটি প্রধান বিরোধী দলের সাংসদরা এককাট্টা হয়ে সাংবাদিক বৈঠককরে অভিযোগ তুলেছিলেন, জ্ঞানেশ কুমার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সাংবিধানিক পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সে সময়ে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাবে সকলে নীতিগত ভাবে রাজি থাকলেও বাদল অধিবেশনের মাত্র তিন দিন বাকি থাকায় বিরোধীরা আর সে পথে হাঁটেননি। এখন বিরোধীদের কী মত, তা বুঝতে চাইছে কংগ্রেস। কারণ, বিহারে কংগ্রেসের খারাপ ফলের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দল বিরোধী মঞ্চে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। যদিও বিহারেও ভোট চুরি করে এনডিএ জিতেছে বলে কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে। গত কয়েক মাসে রাহুল গান্ধী কর্নাটক, হরিয়ানায় ভোট চুরিরঅভিযোগ তুলেছিলেন।
আইনত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের অপসারণের প্রক্রিয়া একই। অন্তত ৫০ জনের সই করা প্রস্তাব জমা দিয়ে সংসদের দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সেই প্রস্তাব পাশ করাতে হয়। বিরোধীদের পক্ষে সংখ্যা না থাকলেও এর ফলে জ্ঞানেশের উপরে চাপ তৈরি করা এবং ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু সংসদের অধিবেশনে বিরোধীদের এককাট্টা রাখা যাবে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)