ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভা ভোটে ‘নোটা’ বিতর্ক পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে।
সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলকে রাজ্যসভায় হারাতে আদাজল খেয়ে লেগেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। বিধায়ক ভাঙানো থেকে বেঙ্গালুরুতে আয়কর হানা— এরই পাশাপাশি হঠাৎই নির্বাচন কমিশন ‘নোটা’ বিকল্প নিয়ে চলে এসেছে রাজ্যসভা ভোটে। কমিশনের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ২০১৪ সাল থেকেই আছে এই নিয়ম। কংগ্রেস এর বিরোধিতা করে আজ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। শুনানি কাল। এর মধ্যে আজ বিজেপিও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ‘নোটা’র বিরোধিতা করে এসেছে। বিজেপির নির্দেশেই কমিশন এ কাজ করেছে, এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
‘নোটা’ মানে কাউকে ভোট না দেওয়ার বিকল্প। কংগ্রেসের বক্তব্য, লোকসভা, বিধানসভার মতো ভোটে সেটি কার্যকর হতে পারে, কারণ আম জনতার উপরে কোনও হুইপ থাকে না। আর রাজ্যসভার ভোটে কোনও প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে দলের হুইপ থাকলে ‘নোটা’ রাখার কী অর্থ? অন্য ক্ষেত্রে যে হুইপ জারি হয়, রাজ্যসভার ভোটের ক্ষেত্রে এ’টি নিছক উপদেশমূলক হয়েই থাকে। কেউ নোটায় ভোট দিলে দলবিরোধী ব্যবস্থা নিতেও সময় লাগবে।
বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ কথা বলেন অরুণ জেটলির সঙ্গে। আজাদ বলেন, এমন ব্যবস্থা থাকলে বিজেপিরও কেউ ‘নোটা’য় ভোট দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিপদ সকলের। গত কাল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে। কিন্তু কমিশন জানিয়েছে, নিষ্পত্তি হবে সুপ্রিম কোর্টেই। তাই আজই গুজরাত কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। কাল বিচারপতি দীপক মিশ্রর বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হবে মামলার।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ নয়, বলেছিল দুজানা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy