E-Paper

বৃদ্ধির হার কম বলেই তুঙ্গে বেকারত্ব, অভিযোগ কংগ্রেসের

গত অর্থ বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে নেমে গেলেও মোদী সরকারের যুক্তি, অর্থ বছরের শেষ তিন মাস বা জানুয়ারি-মার্চে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ ছুঁয়েছে।

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ ০৮:৪৯

Sourced by the ABP

কোভিড-পর্বের পরে গত চার বছরে আর্থিক বৃদ্ধি সর্বনিম্ন হারে পৌঁছে যাওয়ায় কংগ্রেস অভিযোগ তুলল, মোদী জমানায় কারখানায় উৎপাদনে ভাটার টান দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই গোটা দেশ জুড়ে বেকারত্ব চরমে উঠেছে।

আজ কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘২০২৪-২৫-এ আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে নেমে গিয়েছে। করোনা-কালের পরে অর্থনীতিতে এত শ্লথ গতি দেখা যায়নি। বিজেপি সরকার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে লাগাতার ব্যর্থ। দেশ জুড়ে ব্যবসা, শিল্পায়ন থমকে যাচ্ছে। শিল্পে উৎপাদন আট মাসে সর্বনিম্ন। সেই কারণেই দেশ জুড়ে ভয়ঙ্কর বেকারত্ব তৈরি হয়েছে। নতুন চাকরি হচ্ছে না। মানুষের আয় কমছে। আর্থিক অসাম্য বাড়ছে। এই কারণে বাজারে কেনাকাটা ও খরচও কমছে।’’

গত অর্থ বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে নেমে গেলেও মোদী সরকারের যুক্তি, অর্থ বছরের শেষ তিন মাস বা জানুয়ারি-মার্চে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ ছুঁয়েছে। কংগ্রেস জিডিপি-র এই বৃদ্ধির হার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেন, জানুয়ারি-মার্চে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ ছুঁলেও জিভিএ-র বৃদ্ধির হার মাত্র ৬.৮ শতাংশ ছিল। জিডিপি-তে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন মাপা হয়। জিভিএ বা মোট যুক্ত মূল্যতে বা দেশের বাজারে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য মাপা হয়। সেখানে কর, ভর্তুকির হিসেব থাকে না।

সুপ্রিয়ার যুক্তি, জানুয়ারি-মার্চে ভর্তুকির বহর ৪৫ শতাংশ কমেছে। কিন্তু সরকারি খরচ চার গুণ বেড়েছে। পরোক্ষ কর বাবদ আয় ১২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যেখানে প্রথম নয় মাসে কর বাবদ আয় বৃদ্ধির হার মাত্র ৪ শতাংশ ছিল। সেই কারণে জানুয়ারি-মার্চে জিডিপি-র বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু কারখানার উৎপাদনে বৃদ্ধির হার ৪.৮ শতাংশে আটকে গিয়েছে। যেখানে ২০২৪-এর জানুয়ারি-মার্চেও কারখানা উৎপাদনে বৃদ্ধির হার ১১.৩ শতাংশ ছিল। সুপ্রিয়া বলেন, ‘‘গত অর্থ বছরের প্রথমার্ধে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ছিল। দ্বিতীয়ার্থে তা ৬.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার এখন ৭ শতাংশেরও কম। ২০৪৭-এ বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আগামী ২২ বছর টানা প্রতি বছর ৮.২ শতাংশের বৃদ্ধির হার প্রয়োজন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Congress BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy