রাহুল গাঁধী
একটা বৈঠক ঘিরে তোলপাড় দিল্লির রাজনৈতিক মহল। যার মূল বক্তব্য, বিদেশনীতির প্রশ্নে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ানো, নাকি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা?
এই দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে না পেরে আজ দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ল কংগ্রেস। সীমান্তে চিনের সঙ্গে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মধ্যেই গত শনিবার চিনের রাষ্ট্রদূত লিউ ঝাওহুই-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মোদী সরকারকে চাপে ফেলতেই বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা করেছেন চিনা দূত। অতীতেও একাধিক বার চিন এই কৌশল নিয়েছে। এই বৈঠকের পরে চিনা দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে বিষয়টির উল্লেখ রাখলেও উহ্য রাখে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি পেতে মরিয়া বিরোধীরাও
আজ বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসার পরে হৈ চৈ বেধে যায়। প্রথমে বৈঠকটির কথাই অস্বীকার করে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইট করে একে ‘জাল খবর’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পরে অবশ্য কংগ্রেস স্বীকার করে নেয় যে, চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাহুল। এর পর খোদ রাহুল একের পর এক টুইট করেন। তাঁর কথায়, ‘‘যখন হাজার চিনা সেনা ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়ছে, তখন চুপচাপ বসে থাকার পাত্র আমি নই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কোথায় কী ঘটছে, তা জানা আমার কাজ।’’ জানিয়েছেন, চিনের পাশাপাশি ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ব্রিকস-এর শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর সদ্য বেজিং থেকে ফিরেছেন। চিন সফরে গিয়েছেন সরকারের আরও দুই মন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে ওঠা প্রশ্নের জবাবে রাহুলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে সরকার যদি উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে তাদের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত যে, এই সময়ে কেন সরকারের তিন জন মন্ত্রী চিনের আতিথ্য গ্রহণ করলেন?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy