বিহারের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছর তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস আগেভাগেই আসন বণ্টন নিয়ে জট কাটাতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন হবে। সে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধান দল ডিএমকে-র সঙ্গে আসন-আলোচনার জন্য কংগ্রেস পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এআইসিসি-তে তামিলনাড়ুর ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা গিরিশ চোডানকর ছাড়াও কমিটিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, পরিষদীয় দলনেতা ও অন্য দুই সদস্যকে রাখা হয়েছে। অসমেও কংগ্রেস বিভিন্ন ছোট আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে।
বিহারে বিধানসভা ভোটে কার্যত শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আসন নিয়ে দর কষাকষি চলেছিল আরজেডি, কংগ্রেসের। ফলে তিক্ততা তৈরি হয়। কিছু আসনে আরজেডি, কংগ্রেসের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ লড়াইও হয়েছিল। বিহারের মহাগঠবন্ধনে তার প্রভাব পড়ে। তামিলনাড়ুতে সেই ভুল কংগ্রেস করতে চাইছে না। একই সঙ্গে অভিনেতা বিজয়ের তৈরি নতুন রাজনৈতিক দল টিভিকে-র সঙ্গে জোট বেঁধে তারা লড়তে পারে বলে জল্পনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কারণ, বিজয় ও কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও রাহুল গান্ধী ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিনের সঙ্গে জোট ভাঙার পক্ষে নন। তামিলনাড়ুর প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম দলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র ঐক্য মজবুত হবে। যে সব গুজব ছড়াচ্ছিল, তাতেও ইতি টানা যাবে।’’
কংগ্রেসের বক্তব্য, কংগ্রেস বা অন্য শরিক দলকে তাদের শক্তি অনুযায়ী আসন ছাড়তে হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ু বিধানসভার ২৩৪টি আসনের মধ্যে ডিএমকে ১৭৩টি ও কংগ্রেস ২৫টি আসনে লড়েছিল। কংগ্রেসের ১৮ জন বিধায়ক জিতে এসেছিলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)