বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘ভোট চুরি’র বিষয়টিকে প্রচারের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দিতে ঝাঁপিয়েছে কংগ্রেস। দেশ জুড়ে এই নিয়ে ৫ কোটি মানুষের সই সংগ্রহের কাজ শেষ পর্যায়ে। ১৫ তারিখের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় (৫ কোটি) পৌঁছে, সেই কাগজ নিয়ে নির্বাচন কমিশন অভিযানের পরিকল্পনা করছেন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।
এই সই সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে কর্নাটক থেকে। সেই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালার কথায়, ‘‘বিষয়টি শুধুমাত্র কংগ্রেসের নয়। আমরা একে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের বিষয় করে তুলতে চাই। ভোট চুরির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠুক এটাই লক্ষ্য। এটা সংবিধান এবং গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকারটুকু চুরি করে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের এই সই সংগ্রহ। ১৫ তারিখের পর আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।’’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, জেলা এবং ব্লক কংগ্রেসকে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে এই সই সংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত এর আগে রাহুল গান্ধী ‘ভোট চুরি’র সঙ্গে ‘বেকারত্ব’কে জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, তরুণ প্রজন্ম আর ‘চাকরি চুরি’ ও ‘ভোট চুরি’ সহ্য করবে না। কর্নাটকের ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, দেশের তরুণদের এর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। রাহুলের অভিযোগ, ‘‘কোনও সরকার জনতার ভোটে জিতে এলে তারা বেকারত্বের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করত। কিন্তু বিজেপি সততার সঙ্গে ভোটে জেতে না। ভোট চুরি করে, সাংবিধানিক সংস্থাকে পকেটে পুরে ভোটে জেতে। সেই জন্যই বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। চাকরির সুযোগ কমছে। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। কিন্তু মোদী শুধু নিজের প্রচার, সেলিব্রিটিদের দিয়ে নিজের গুণগান করানো ও শিল্পপতিদের মুনাফা পাওয়াতে ব্যস্ত।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)