Advertisement
E-Paper

’৮৪-র শিখ-বিরোধী হিংসায় কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা সিবিআইয়ের

সিবিআই চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অন্তর্ভুক্ত করেছে। বলা হয়েছে, টাইটলার জনতাকে প্ররোচিত করে শিখ সম্প্রদায়ের লোকজনকে খুন এবং গুরুদ্বারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১৭:২১
File image of Jagdish Tytler

কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলার। — ফাইল ছবি।

১৯৮৪ সালে রাজধানী দিল্লিতে শিখ-বিরোধী হিংসা চলাকালীন কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলার শিখ সম্প্রদায়ভুক্তদের খুন করার জন্য জনতাকে প্ররোচিত করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে জমা পড়া চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে সিবিআই। ১৯৮৪ সালে শিখ-বিরোধী হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।

চার্জশিটে তেমনই দাবি করা কয়েক জন সাক্ষীর নাম এবং বয়ানও নথিভুক্ত করেছে সিবিআই। ‘নিউজ ১৮’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চার্জশিটে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘‘জগদীশ টাইটলার তাঁর সাদা অ্যাম্বাসেডর গাড়ি থেকে নামেন এবং জনতাকে প্ররোচিত করা শুরু করেন। তিনি জনতাকে প্ররোচনা দিতে থাকেন যে, প্রথমে শিখদের খুন করা এবং তার পর তাঁদের দোকানে লুটপাট চালাও।’’ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে সিবিআই অন্তর্ভুক্ত করেছে টাইটলারের গাড়িচালকের ছেলের বয়ানও।

সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, টাইটলার যে সেই উত্তেজিত জনতার অংশ ছিলেন, তা প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত নথি তাদের হাতে মজুত রয়েছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘‘১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর টাইটলারই জনতাকে প্ররোচিত করেন, যার ফলশ্রুতিতে আগুন লাগানো হয় গুরুদ্বার পুল বঙ্গাসে এবং শিখ সম্প্রদায়ের তিন জনকে খুন করা হয়।’’ ঘটনাচক্রে, তার ঠিক একদিন আগেই শিখ দেহরক্ষীদের হাতে খুন হন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

রাজধানীতে ’৮৪ সালে শিখ-বিরোধী হিংসার ঘটনায় তদন্ত করে গত ২০ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। গত ২৬ জুলাই আদালত টাইটলারের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। সেই অনুযায়ী, ৫ অগস্ট আদালতে হাজির হন টাইটলার। এই মামলায় তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। শনিবার সেই আদালতে টাইটলার হাজির হতেই বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। দিল্লি শিখ গুরুদ্বার পরিচালন কমিটির সদস্যরা আদালতের বাইরে টাইটলারের আগাম জামিনের বিরোধিতা করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও গোলমালের আঁচ করে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। ফলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

jagdish tytler CBI Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy