মুল্লাপল্লী রামচন্দ্রন। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
আলটপকা মন্তব্য তিনি আগেও করেছেন। তবে কেরল কংগ্রেসের সভাপতি মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রের সর্বশেষ মন্তব্য এমনই ঝড় তুলেছে যে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাচ্ছেন না তিনি। তার পরেও রামচন্দ্রন থেমে নেই। সমালোচকদের উদ্দেশে তাঁর দাবড়ানি— ‘‘দুঃখ প্রকাশ করার পরেও কেন এক প্রসঙ্গ তোলা হচ্ছে!”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রবিবার মন্তব্য করেন, “মান-সম্মান থাকলে ধর্ষিতার উচিত আত্মহত্যা করা, যাতে ফের তাকে ধর্ষণের শিকার না-হতে হয়।” যে প্রসঙ্গে রামচন্দ্রন এই মন্তব্যটি করেন তা কংগ্রেসের পক্ষে অস্বস্তিকর। ২০১৪-য় মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডির কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে টাকা নয়ছয়ের কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। বাম সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সেই কেলেঙ্কারির তদন্তে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কমিশনের কাছে এক মহিলা অভিযোগ করেন, প্রকল্পে সরকারি দাক্ষিণ্য পেতে কংগ্রেসের মন্ত্রীদের চাপে শরীর সঁপতে হয়েছে তাঁকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চান্ডি-সমেত প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাও করেন ওই মহিলা। রাজ্য সরকার সম্প্রতি তা নিয়ে তৎপর। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করাতেই মেজাজ হারিয়ে এই মন্তব্য করেন রামচন্দ্রন। রাজ্য মহিলা কমিশন নোটিস দেয় তাঁকে। এর পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিবৃতি দিয়ে জানান, ওই মন্তব্য অবাঞ্ছিত। কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু তার পরেও প্রদেশ কংগ্রেসের সর্বোচ্চ পদ মর্যাদার এক জন ব্যক্তির এমন মন্তব্যে সমালোচনা থামছে না। অনেকের বক্তব্য, দায়সারা ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিলেই সব মুছে যায় না। এ বার তাই পাল্টা হুঙ্কার দিলেন রামচন্দ্রন— “অকারণ রাজনীতি করা হচ্ছে। দুঃখ প্রকাশ করেছি, মিটে গিয়েছে। আর কেন বিষয়টি তোলা হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy