কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।
মোদী পদবি অবমাননার মামলায় সাজা এড়াতে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল দায়রা আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্ট তা বহাল রাখায় এ বার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানালেন তিনি।
‘অপরাধমূলক অবমাননা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাহুলের দু’বছর জেলের যে সাজা সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিয়েছিল, তা উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের আবেদন গত ৭ জুলাই খারিজ করে দেয় গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। এর আগে সুরাতের দায়রা আদালতও সাজার রায় বহাল রেখেছিল। সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শনিবার রাহুলের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। তবে ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক। সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।
এর পর রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা করার বিরুদ্ধে এবং তাঁকে দেওয়া সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে সাজা কার্যকরের রায় বহাল রাখেন। ফলে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হাতছাড়া হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, বিচারক মোগেরা এক সময় একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা (বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অমিত শাহের আইনজীবী ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy